‘কংগ্রেসের তৈরি আন্তর্জাতিক সুসম্পর্কের জাল ছিন্ন করেছেন মোদি’ অভিযোগ রাহুল গান্ধির
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকারের কারণেই, কংগ্রেসের গড়ে তোলা আন্তর্জাতিক সুসম্পর্কের জাল নষ্ট হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে। গত বুধবার এমন অভিযোগ এনে মোদি প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধি।
এসময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করে বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে বন্ধু না থাকলে তা আগামীদিনে ভারতের জন্যেই বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট- এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এমন কথা বলেন তিনি। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সুসম্পর্ক এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতির কথা তুলে ধরা হয়।
এব্যাপারে রাহুলের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট। কোনো প্রকার রাখঢাক না করেই তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, ''গত কয়েক দশক ধরে কংগ্রেস প্রতিবেশীদের সম্পর্কে যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং যা বজায় রেখে চলতো; তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন শ্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধু ছাড়া বৈরি প্রতিবেশীবেষ্টিত হয়ে থাকাটা (ভারতের জন্য) খুবই বিপজ্জনক।''
এদিকে এমন সময় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এ শীর্ষ নেতা এ মন্তব্য করলেন, যখন ভারত এবং চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। উত্তেজনা নিরসনে আলোচনাও চলছে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে। এরমধ্যেই, দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থার নিরসনে উভয়পক্ষ সেখানে নতুন করে সেনা মোতায়েন বন্ধ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিদ্যমান অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো পদক্ষেপ নেবে না, বলেও ঘোষণা দেয়।
গত সোমবার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনের আলোচনা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে। এরপর দেওয়া ওই বিবৃতিতে অবশ্য দুই পক্ষের শীর্ষ সামরিক কম্যান্ডারগণ মুখোমুখি অবস্থান নিরসনে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন কিনা- তা উলেখ করা হয়নি।
রাহুল গান্ধি বরাবর সীমান্তের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তথ্য না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে এসেছেন। সরকারের মন্ত্রীদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করতে পিছপা হননি সাবেক কংগ্রেস সভাপতি। তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি চীনকে ভয় পান, এমন অভিযোগও করেছেন।
গত সপ্তাহে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির পার্লামেন্টকে জানায়, বিগত ছয় মাসে ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনাদের কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। এর একদিন আগেই আবার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় জানিয়েছিলেন, চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর বিপুল সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে, এমনকি (ভারত) সীমান্তের অভ্যন্তরেও তারা এমনটি করেছে।
- সূত্র: স্ক্রল ডটইন