‘শোলে’র চেয়েও বেশি টিকিট বিক্রি; এ ছবির নায়ক ধর্মেন্দ্র-অমিতাভের চেয়েও বেশি হিট সিনেমা দিয়েছেন
অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী অভিনীত সিনেমা 'শোলে' এশিয়াজুড়ে ৩০ কোটি টিকিট বিক্রি করেছিল। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার জন্য যা ছিল রেকর্ড।
সময়ের পরিক্রমায় আমির খানের বলিউড সিনেমা 'দঙ্গল'ও বক্স অফিসে বেশ ভালো আয় করেছে। প্রতিবেশী দেশ চীনে সিনেমাটি রেকর্ড সংখ্যক আয় করছে।
কিন্তু ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা 'ক্যারাভান' যেন 'শোলে' সিনেমাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মুক্তির বছরে ভারতে সিনেমাটির টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১.৯ কোটি। কিন্তু ১৯৭৯ সালে চীনে মুক্তি পেয়ে সিনেমাটি দেশটিতে বিক্রি করেছিল ৮.৮ কোটি টিকিট। সেক্ষেত্রে ২০০০ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বসাকুল্যে সিনেমাটির ৩০ কোটিরও বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে।
সিনেমাটির এমন আকাশচুম্বী সাফল্যের পরেও এর মূল অভিনেতা জিতেন্দ্র আমিতাভ কিংবা রাজেশ খান্নার মতো ততটা জনপ্রিয়তা পাননি। তার নামের আগে সুপারস্টার তকমাও যোগ হয়নি।
সাসপেন্স-থ্রিলার সিনেমা 'ক্যারাভান' বক্স অফিসে সর্বমোট আয় করেছে ৩৫.৩ কোটি রুপি। যদিও ১৯৭১ সালে সিনেমাটি ভারতীয় বক্স অফিসে ৩.৬ কোটি রুপি আয় করেছিল।
সিনেমাটির জিতেন্দ্র ও আশা পারেখ জুটি রাতারাতি ব্যাপক হিটে পরিণত হয়। তারা বেশ তারকাখ্যাতি পান। এ ছবিতে আরুনা ইরানি ও হেলেনও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ক্যারাভানের পরিচালক ছিলেন আমির খানের চাচা নাসির হুসাইন। সিনেমাটির প্লটের পাশাপাশি গানগুলোও দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। 'চাড়তে জাওয়ানি মেরি চাল মাস্তানি', 'দাইয়া ইয়েহ ম্যা কাহাঁ আ ফাসে', 'দিলবার দিল সে পিয়ারে', 'পিয়া তু আব তো আজা'—এই গানগুলো ব্যাপক হিট হয়। এ ছবির গানের লিরিক লিখেছেন বিখ্যাত কবি মাজরুহ সুলতানপুরি, সংগীত পরিচালনা করেছেন আরডি বর্মণ।
এ ছবি মুক্তি পাওয়ার পর জিতেন্দ্রর তারকাখ্যাতি তুঙ্গে ওঠে। এমনকি হিট সিনেমার দিক থেকেও দুই সুপারস্টার রাজেশ খান্না ও অমিতাভ বচ্চনকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
ক্যারিয়ারে ৬৩টি হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ। আর রাজেশ খান্না অভিনয় করেছেন ৫৭টি হিট সিনেমায়। তবে জিতেন্দ্র ৬৯টি হিট সিনেমায় অভিনয় করে এই দুইজনকে ছাড়িয়ে গেছেন।
অন্যদিকে আশা পারেখও ক্যারিয়ারে বহু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে 'লাভ ইন টোকিও', 'জিদ্দি', 'মেরে সানাম' ইত্যাদি সিনেমা।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান