খাগড়াছড়িতে গণধর্ষণ: ৭ আসামি গ্রেপ্তার
গত বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি শহরে বলপেইয়া আদামে একটি ঘরে দুধর্ষ ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জেলার রামগড় উপজেলার তৈচালা পাড়ার নুরুল আমিন (৪০), দারোগা পাড়ার মো. অন্তর (২০), খাগড়াছড়ি পৌর এলাকা কুমিল্লা টিলার বেলাল হোসেন (২৩), গঞ্জপাড়ার মো. আব্দুল হালিম (২৮), গুইমারা উপজেলার বড় পিলাক এলাকার ইকবাল হোসেন (২১), পশ্চিম বড় পিলাক এলাকার মো. শাহিন মিয়া (১৯), মাটিরাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ মুসলিম পাড়ার আব্দুর রশিদ (৩৭)।
পুলিশ একাধিক স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে এসব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি হওয়া নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট, ডাকাতিকালে ব্যবহার করা একটি নম্বরবিহীন অটোরিকশা, দরজা ভাঙ্গার একটি শাবল।
রোববার সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংসাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ।
এ সময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ও আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, 'আসামিরা প্রত্যেকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এর ফাঁকে ফাঁকে তারা ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার লুণ্ঠন করে। ডাকাতি ও ধর্ষণ শেষ করে তারা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মাটিরাঙ্গার দিকে চলে যায়।'
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অনেকে ধর্ষণ মামলার আসামিও।
এ ডাকাত দল জেলখানা বসে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়। সেখানে তারা ডাকাত দল গঠন করেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তারা আবার এ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির ঘটনায় মোট ৯ জন অংশ নেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির আগে সেখানে একাধিকবার রেকি করেন আসামিরা। এরপর তারা শাবল দিয়ে দরজা ভাঙেন। ভেতরে প্রবেশ করে বাড়িতে থাকা তিনজনকে বেঁধে ফেলেন। এরপর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, 'ঘটনার বিস্তারিত সব তথ্য আমাদের হাতে আছে। কেউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে যে অপরাধ করেছে, সে সে শাস্তি পাবে।'
প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি শহরের বলপেইয়া আদামে একদল ডাকাত একটি বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে সবাইকে বেঁধে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণ ও বাড়িতে ডাকাতি করে। পুলিশ এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।