মিরপুর থেকে বিপন্ন ৪ মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
ঢাকার মিরপুর থেকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে চারটি বিপন্ন মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করেছে বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট (ডব্লিউসিসিআই)। প্রাণীগুলোকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি গাড়িতে করে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
অভিযানে ডব্লিউসিসিআই-এর সাথে শাহ আলী থানা পুলিশও অংশ নেয় এবং একজন বন্যপ্রাণী পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুরের শাহ আলী থানার অধীনে মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের কাছে এ অভিযান চালানো হয়।
ডব্লিউসিসিআই-এর ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আস সাদিক উদ্ধার কার্যক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, হনুমানগুলো শোচনীয় অবস্থায় ছিল। প্রাণীগুলোকে দুটি প্লাস্টিকের বস্তা ও একটি লোহার খাঁচায় ভরে গাড়ির পেছনে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, "উদ্ধারকৃত চারটি হনুমানের মধ্যে একটি শিশু হনুমান মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।"
ইন্সপেক্টর সাদিক জানান, "গ্রেপ্তারকৃত গাড়ি চালক নাজরুল (৩৫) প্রাণীগুলোর বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন এবং দাবি করেন, প্রাণীগুলো হাদিস রহমান ওরফে নীরব (৩২) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নজরুল স্বীকার করেছেন, তিনি প্রাণীগুলো চুয়াডাঙ্গায় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি (নজরুল) আরও জানান, বান্দরবানের আলীকদম থেকে পাচারকারীরা প্রায়ই বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে ভারত পাচার করে।"
নজরুল বর্তমানে শাহ আলী থানায় হেফাজতে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাদিস রহমানকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তিনি পূর্বে বন্যপ্রাণী পাচারের একাধিক মামলার আসামি।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও সুরক্ষা) আইন ২০১২ অনুযায়ী, মুখপোড়া হনুমান একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। বন্যপ্রাণী পাচার প্রতিরোধে প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বন বিভাগ এবং সংরক্ষিত প্রাণী নিয়ে সন্দেহজনক কোনো কার্যক্রম দেখলে তা জানানোর জন্য জনগণকে উৎসাহিত করেছে।