আজ বাফুফে নির্বাচন, শুরু হয়েছে এজিএম
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির পদে পরিবর্তন আসুক, এমন চাওয়া অনেক দিনের। ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকেই চেয়েছেন, পদটিতে পরিবর্তন আসুক। রাজনৈতিক পট পরবির্তনের পর সেই পরিবর্তন এবার আসছে। গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন টানা চার মেয়াদে বাফুফে প্রধানের দায়িত্ব পালন করা কাজী সালাউদ্দিন। ১৬ বছরের মধ্যে তাকে ছাড়া প্রথমবারের মতো বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আজ দুপুর ২টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে ৬টা পর্যন্ত। মোট ১৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। এর আগে ১১টায় শুরু হয়েছে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম), এই কার্যক্রম চলবে দুপুর একটা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থী, ভোটার, সাবেক ফুটবলারদের মিলন মেলায় মুখর কেন্দ্র।
বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পদ মোট ২১টি, পদগুলোয় লড়ছেন ৪৬ জন প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইমরুল হাসান সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় এই পদে ভোট নেই। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সহ-সভাপতি চারটি পদে ভোট করছেন ছয়জন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য ১৫টি পদে নির্বাচন করছেন ৩৭ জন।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। মেজর জেনারেল আমিন আহমেদকে হারিয়ে সেবার বাফুফে প্রধানের চেয়ার জেতেন দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।
পরের দফায় নির্বাচন করতে হয়নি সালাউদ্দিনকে। ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে কামরুল আশরাফকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বাফুফে সভাপতি হন সালাউদ্দিন। সর্বশেষ নির্বাচনে জাতীয় দলের দুই সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়কে হারিয়ে বাফুফের মসনদে বসেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার।