স্ক্রিনশটটি ভুয়া; প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য বলে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি টিবিএস
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য ছিলেন বলে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)।
টিবিএসের প্রতিবেদন বলে প্রচারিত একটি স্ক্রিনশট ও মাহফুজের ছবিসহ প্রতিবেদন ফেসবুকে পোস্ট করা হলেও, পত্রিকাটির প্রিন্ট বা অনলাইন সংস্করণে এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
পোস্টটিতে আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ নামে একজন ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীরের সন্দেহভাজন সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে রিমান্ডে থাকা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
মূলত ছবিটি কারসাজি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীর সদস্য বলে দাবি করা ফেসবুক পোস্টটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংও।
প্রেস উইং তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জানিয়েছে, অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ ও বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি।
দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিটও একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।
'স্বৈরাচারী' শেখ হাসিনার পতনে ভূমিকা রাখা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মাহফুজ আলম।
একটি পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন যে তিনি কখনো হিযবুত তাহরীর বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামি সংগঠনের সদস্য ছিলেন না।
সম্প্রতি ডিসমিসল্যাবের প্রকাশিত ২০২৪ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ফ্যাক্ট-চেকিং রিপোর্টের পর্যালোচনাতে তারা জানায়, মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য গ্রাফিক্স কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।
এতে বলা হয়েছে, 'দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের ফ্যাক্ট-চেক করা কনটেন্ট এর ১৩% ছিল গ্রাফিক কার্ড, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এর হার ১৯% এ পৌঁছেছে।'
আরও বলা হয়েছে, 'গ্রাফিক কার্ডের মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্যের মধ্যে ৮১% ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমের নাম এবং লোগো নকল করা হয়েছে। সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর শেয়ার করতে মিডিয়া সংস্থাগুলো যেমন কার্ড ব্যবহার করে, এই গ্রাফিক কার্ডগুলো দেখতে ঠিক তেমন।'
রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'বিশেষভাবে এই বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রায় অর্ধেক (৪৯%) ছিল রাজনীতি বিষয়ক।'