পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজে করে যা আনা হলো
দুবাই থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা 'এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং' জাহাজে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য এসেছে।
এসব পণ্যের মোট ওজন ছয় হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এ পণ্যগুলো সরবরাহ করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরসচিব ওমর ফারুক জানান, জাহাজটি কনটেইনারগুলো নামিয়ে মঙ্গলবার বন্দর ত্যাগ করেছে। আমদানিকারকদের এখন এসব পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমস প্রক্রিয়া শুরু করার কথা।
বন্দর ও কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। মোট ১১৫ কনটেইনারে সোডা অ্যাশ আনা হয়েছে।
এছাড়া ৪৬ একক [ইউনিট] কনটেইনারে ডলোমাইট এবং ৩৫ একক কনটেইনারে চুনাপাথর আনা হয়েছে। ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট এসেছে ছয় কনটেইনারে। আর কাচশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ভাঙা কাচ আনা হয়েছে ১০ কনটেইনারে।
শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল যেমন কাপড়, রং ইত্যাদি রয়েছে ২৮টি কনটেইনারে। এছাড়াও, একটি কনটেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ।
এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
প্রথমবারের মতো নতুন এ পরিবহনসেবায় পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সরাসরি কনটেইনারে করে পণ্য আনা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এর আগে পাকিস্তানের কনটেইনার পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে চট্টগ্রামে আনা হতো।
এ নতুন সেবায় প্রথমবার পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে কী পণ্য আনা হয়েছে, তা নিয়ে দেশে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার আগে জাহাজটি থেকে ৩৭০ একক কনটেইনার নামানো হয়। এর মধ্যে ২৯৭ একক কনটেইনার এসেছে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে এবং ৭৩ একক কনটেইনার এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।