সারের ভর্তুকিতে ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের পরিকল্পনা: কৃষি সচিব
সারের ভর্তুকিতে গত অর্থবছরে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। তবে এবারে ভর্তুকি প্রদানে কিছু সংস্কার ও স্বচ্ছতা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের অফিস কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, 'এই মুহূর্তে দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। মজুদ দিয়ে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সংকট হবে না। পাইপলাইনে থাকা পর্যাপ্ত সার আসতে শুরু করেছে। ফলে বোরো মৌসুমে দেশে সারের কোনো সংকট হবে না বলে আশা করছি।'
তিনি বলেন, 'সারের মজুদ দিয়ে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত চাহিদা মেটানো যাবে। সারে ভর্তুকি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই ভর্তুকি থেকে অন্তত আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।'
আগামী দুই বছরের মধ্যে সারের সংকট থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, 'সার পরিবহন ও মজুদের ব্যাপারে বড় একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ফলে আগামী ২ বছর পর সার সংকট নামের কোনো জিনিস থাকবে না। সারের অপচয় শূন্যের কোটায় আনার চেষ্টা করব।'
আগামী সাত দিনের মধ্যে আলুর দাম কমে আসতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আলু মৌসুমে আলু রোপনে যে সারের প্রয়োজন তা নিয়ে কৃষকের কোনো চিন্তার কারণ নেই। একইসঙ্গে আলুর বীজের দাম ও সারের জোগান বিষয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মিটিং করে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি অনুবিভাগ) ড. মো. মাহমুদুর রহমান, বিএজেএফ সভাপতি ও প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম ইফতেখার মাহমুদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।