শিক্ষার্থীদের ‘সংঘর্ষ এড়াতে’ সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'সংঘর্ষ এড়াতে' রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজ দুটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম।
এর আগে আজ দুপুরে ঢাকা কলেজের দুটি বাস সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যা সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। এর আগেও অসংখ্যবার দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আ ক ম রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা কলেজের সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ ও পুলিশ জড়িত।'
লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, 'সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা কলেজের স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তাদের পদত্যাগ করতে হবে।'
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শনের আহ্বানও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, 'সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা যখন কলেজের ভেতরে ঢুকে পড়েন, তখন আমি ও আমার সহকর্মীরা এগিয়ে যাই। টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ফলে আমাদের কতজন ছাত্র আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত নই। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তি চাই।'