শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি, সুস্থ হতে যা করবেন
ঢাকা শহরে এখনও তেমন শীত পরেনি, তবে প্রায় ঘরে ঘরে সর্দি কাশির রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশে শীতের আগ মুহূর্তে বিভিন্ন ভাইরাসের প্রকোপে সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের শ্বাসযন্ত্রের রোগ বাড়ে।
বর্তমানে রোগীদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি হচ্ছে। বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসার পর ভালোও হয়ে যাচ্ছে। তবে যাদের অ্যাজমা বা সিওপিডি আছে, তাদের সমস্যা বেশি হচ্ছে।
এ সময় সর্দি-কাশি থেকে সুস্থ থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সর্দি-কাশি হলে যা করতে হবে
১. বড়দের সর্দি কাশি হলে শরীর ম্যাজম্যাজ করলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
২. সর্দিতে অ্যান্টি হিস্টাসিন খেতে পারেন।
৩. বাসায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে কুসুম গরম পানি খাওয়া, গরম পানির ভাপ নিতে, লেবুর শরবত খেতে পারেন।
৪. তবে রোগীর কাশির সঙ্গে কফ আসলে এবং সেই কফের রং হলুদ হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বুকের একটা এক্সরে করে নিশ্চিত হতে হবে যে নিউমোনিয়া হয়েছে কি না। নিউমোনিয়া হলে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হবে
শিশুদের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে
১. সর্দি হলে শিশুরা শ্বাস নিতে পারে না। আর নাক বন্ধ থাকলে কান্নাকাটি করে, দুধ খেতে পারেনা। এক্ষেত্রে নাকের স্প্রে ভালো কাজ করে। তবে ৫-৭ দিনের মধ্যে যদি ভালো না হয় তাহলে বুকের এক্সরে করে ডাক্তার দেখাতে হবে।
২. শিশুদের ক্ষেত্রে নেবুলাইজার ভালো কাজ করে।
সুস্থ থাকতে যা করতে হবে
১. আমাদের দেশে দূষণ অনেক বেশি, তাই মানুষের ফুসফুসের ওপর চাপ বাড়ছে। সামান্য ভাইরাস আক্রমণ করলেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তাই দূষণ থেকে বাঁচতে বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে।
২. ঘন ঘন হাত ধুতে হবে
৩. শিশুদের ঠান্ডা লাগানো যাবেনা।
লেখক: ডা. আশরাফুল ইসলাম ইরফান, কনসালটেন্ট (মেডিসিন), ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল