বাংলাদেশ এখনও উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয়ের ফাঁদে রয়েছে: ফওজুল জ্বালানি উপদেষ্টা
বাংলাদেশ এখনও উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয়ের ফাঁদে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয়ের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা কিন্তু এখনও সেই ফাঁদেই আছি। এসব বিষয় বোঝার মতো সম্পদ সরকারের ভেতরে এখনও নেই। আমাদের দাতা সংস্থারা আমাদের যা বোঝান, আমরা সেটাকেই মেনে নিই। এভাবে অপচয় কতদিন চলতে পারে। এর পরিণতি আমরা সবাই জানি। এবার যদি আমরা ফেইল করি তাহলে আরও বড় বিদ্রোহ হবে। অনেকে মনে করে এটা ওয়ান টাইম এপিসোড, কিন্তু এটা কোনো ওয়ান টাইম এপিসোড না।'
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচআর কনভেনশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, 'পাবলিক সেক্টরে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য আমরা সাধারণত রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা কাদের সহায়তায় করে। ব্যাংকগুলো যে ফাঁকা করেছে, এগুলো কি রাজনীতিবিদরা ভল্ট খুলে নিয়ে গেছে। এগুলোর সহযোগী কারা। এটা একটা গভীর সংকট।'
ফাওজুল কবির বলেন, 'খুলনার রুপসায় একটা ৮ হাজার কোটি খরচ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোনো গ্যাস নেই। ফেরার পথে পদ্মা রেল ব্রিজে দেখলাম ৪১ হাজার কোটি টাকা খরচ। শেষ মুহুর্তে সেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ কমানো হয়েছে। রাজস্ব দেখলাম লেখা আছে বছরে ১৪০০ কোটি টাকা। ৬ মাসে দেখলাম আসছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা। এভাবেই প্রকল্প জাস্টিফাই করা হয়েছে। এগুলো অপচয় ছাড়া কিছুই না। এগুলোর দায় শুধু রাজনীতিবিদদের না, এখানে সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত আছে।'
তিনি আরও বলেন, 'জাতি হিসেবে আমাদের এভারেজ মরালিটি খুবই নিম্নমানের। এজন্য আল্লামা ইকবাল বলেছেন পশ্চিমে গেলে ইসলাম দেখি মুসলমান দেখিনা, আবার প্রাচ্যে আসলে মুসলমান দেখি কিন্তু ইসলাম দেখিনা।'
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের (এপিইউবি) চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম।