ইনক্রিমেন্টসহ বিভিন্ন দাবিতে ফের উত্তেজনা পোশাক খাতে, আশুলিয়ায় ৩ কারখানায় সাধারণ ছুটি
বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি, নূন্যতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে আবারও উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্পে।
এসব দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতির মুখে আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার আশুলিয়ায় অন্তত ৩টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশের একটি সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া শিল্প পুলিশের একজন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবিতে আজ আশুলিয়ায় সকাল থেকে কারখানায় কাজ না করে বসে থাকার পর বেলা ১১টার দিকে নিউএইজ, আল মুসলিম ও নাসার শ্রমিকরা কারখানা থেকে চলে যায়। পরে এই তিন কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করে।"
গতকালও একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করায় একটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
যদিও এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলমের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বিজিএমইএ সূত্র বলছে, আশুলিয়া এলাকায় আজ বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ, স্ববেতনে ছুটি আছে বা শ্রমিকরা চলে গেছে- এমন কারখানার সংখ্যা ৭টি।
এসব কারখানার মধ্যে রয়েছে- নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, নাসা বেসিক লিমিটেড, এ.জে সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, আল মুসলিম অ্যাপারেলস, ট্রাউজার লাইন লিমিটেড।
সূত্র বলছে, মূলত ইনক্রিমেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে কারখানাগুলোতে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "গতকাল থেকে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ইনক্রিমেন্টসহ কয়েকটি দাবিতে কারখানায় কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছে বলে জানতে পেরেছি। মূলত সরকারসহ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে যেই ১৮ দফা, সেটির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেই শ্রমিকদের এসব দাবি-দাওয়া, যেমন- নাইট-টিফিন বিল বৃদ্ধি, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির মতো দাবিগুলো আসছে।"
"যদিও সংস্কার কমিশন, মজুরি পুনর্মূল্যায়নের জন্য গঠিত কমিটি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠকও হচ্ছে। এর মধ্যে যদিও এমন কর্মবিরতি কাম্য নয়, তবুও আমি মনে করি, ইনক্রিমেন্টসহ মজুরি পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টি ডিসেম্বরের মধ্যেই সমাধান হওয়া উচিৎ; অন্যথায় জানুয়ারি থেকে আবারও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে," যোগ করেন তিনি।