'রাঘববোয়ালদের' ধরতে শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে: দুদকের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান
দুদকের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখে অচিরেই বড় বড় দুর্নীতির অভিযোগ থাকা 'রাঘববোয়ালদের' বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, বড় ধরনের যত দুর্নীতি হয়েছে, রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজগুলো যারা করেছেন তারা যেন শেষ পর্যন্ত ছাড় না পান; সেটা আমরা যথাযথভাবে করার চেষ্টা করব। রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে কাজ না করি সেটা আমরা লক্ষ্য রাখব। জনপ্রত্যাশা ও রাষ্ট্রের যে প্রত্যাশা; আমরা খানিকটা হলেও তা পূরণ করতে পারব।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ছিলেন।
তিনি বলেন, আমি তিনটি রাজনৈতিক সরকার ও দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য রাজনৈতিক দলের মতো কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নেই। রাজনৈতিক চাওয়া নেই। এই সরকারের চাওয়া হচ্ছে জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। এখানে রাজনৈতিক সরকার প্রভাবিত করবে না। আমরাও প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব।
আবদুল মোমেন বলেন, দুদক সমাজেরই অঙ্গ। দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে একটি প্রতিষ্ঠানেরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। আমার বা দুদকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি নির্মোহ ও সঠিকভাবে অনুসন্ধানের দায়িত্ব আপনাদের (সাংবাদিকদের)।
জনগণের কাছে সঠিক তথ্য প্রদানে এসময় তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনাও করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অনুসন্ধান ও তদন্ত যদি আমরা ঠিকমতো করে দিতে পারি তবেই বিচারকরা ন্যায়বিচার দিতে পারবেন। এখানে বিচারককে এককভাবে দায়ী করা যাবে না। বিচারকের একক কৃতিত্ব নাই। বিচারের পেছনে তদন্ত হচ্ছে ফাউন্ডেশন। তদন্ত নিরপেক্ষ হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার আমাদের অনেক বিজ্ঞজনের মধ্য থেকে নির্বাচন করেছেন। আমাদের কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি নজরে আসলে নিঃসংকোচে বলবেন।