এবার সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলে আমদানি শুল্ক অব্যাহতি ও ভ্যাট হ্রাস
সরকার সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়ে ৫ শতাংশ করে অন্যান্য ভোজ্য তেলের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর জারি করা একটি এসআরও-তে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল (১৬ ডিসেম্বর) এসআরওটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়। আগামী তিন মাস এই শুল্ক অব্যাহতি ও ভ্যাট হ্রাস সুবিধা পাবে পণ্য দুটি।
একইসঙ্গে বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সয়াবিন ও পাম তেলের বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতি ও ভ্যাট হ্রাস সুবিধার মেয়াদও আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে এনবিআরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে ভোজ্য তেলের আমদানি, স্থানীয় পরিশোধন ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয়েছিল।
এনবিআরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'ইতঃপূর্বে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে দুটি অর্ডারের মাধ্যমে সয়াবিন ও পাম অয়েলের আমদানি শুল্ক অব্যাহতি ও হ্রাসকৃত ভ্যাট সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবত ছিল। ভোজ্য তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে এবার এই তালিকায় সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা অয়েলও যুক্ত করা হয়েছে।'
এর ফলে সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের আমদানি ব্যয় লিটারপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে বলে জানানো হয় এতে।
বর্তমানে বাংলাদেশে সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের আমদানি খুবই কম। কারণ এই তেলগুলোর আমদানি সয়াবিন ও পাম তেলের তুলনায় অনেক ব্যয়বহুল।
তবে সয়াবিন ও পাম তেলের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে স্থানীয় ভোজ্য তেল আমদানিকারকরা সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানান, সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায় তুলনামূলক কম। গত অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল প্রায় ২ কোটি টাকা।
আমদানিকারকরা বলছেন, ভ্যাট আরও কমানো হলে তারা সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের আমদানি বাড়াতে পারবেন, যার ফলের তেলের দামও কমতে পারে।