৬৭ বছর পর প্রথম কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম একজন নারী আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার। দেশটির বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর লিথাল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে লিসা মন্টেগোমারির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হবে।
২০০৪ সালে লিসা একজন গর্ভবতী নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে তার পেট চিড়ে গর্ভের সন্তানকে বের করে অপহরণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ ১৯৫৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর কোনো নারী আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বনি ব্রাউন হিডি নামে ওই নারী অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। একই বছর ইথেল রোজেনবার্গ নামে এক নারীকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যদণ্ড দেয় দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এ বছর টানা ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নবম আসামি ব্র্যান্ডন বার্নার্ড। ১৯৯৯ সালে টেক্সাসের দুজন মন্ত্রী হত্যা মামলার তিনি। ১০ ডিসেম্বর লিথাল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। তার সহযোগী ক্রিস্টফার ভিয়ালভাকে গত ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এর আগে, ২০০৩ সাল থেকে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেনি ফেডারেল সরকার, এবং ১৯৬০ সাল থেকে মাত্র ৪ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মন্টেগোমারি ও বার্নার্ড- উভয়ের আইনজীবী জানান, তাদের মক্কেলদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অন্যায্য হবে। মন্টেগোমারির আইনজীবী কেলি হেনরি বলেন, তার মক্কেল মানসিকভাবে অসুস্থ। মন্টেগোমারি শৈশবে নির্যাতনের শিকার এবং আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।
অন্যদিকে, বার্নার্ডের আইনজীবী রবার্ট সি ওয়েন জানান, অপরাধের সময় বার্নার্ডের বয়স ছিল ১৮ বছর এবং ইতোপূর্বে তার কোনো অপরাধের অভিযোগ নেই।
সূত্র: সিএনএন