আগুনের ঘটনায় সচিবালয়ে কাজ বন্ধ, কিছু দপ্তরে বিদ্যুৎ নেই, চলে যাচ্ছেন কর্মীরা
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগায় বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯ তলা এই ভবনে সাতটি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর রয়েছে, যেখানে এখন কোনো কাজ হচ্ছে না। অন্যান্য ভবনে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও বিশেষভাবে চলছে না।
আজ (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করার পর এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৭ নম্বর ভবনের চারদিকে ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো পানি। ভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সচিবালয়ে প্রবেশ সীমিত হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। যাদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে, তারা আগুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে গল্প গুজব করছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বারোটার দিকে তার দপ্তর পরিদর্শন করেন।
৭ নম্বর ভবনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা জানান, ৬, ৭ ও ৮ তলার বেশিরভাগ রুমই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে অন্যান্য তলার ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম। পানিতে বেশ কিছু জিনিস নষ্ট হয়েছে।
কিছু দপ্তরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় কর্মকর্তারা কাজ করতে পারছেন না। বেশিরভাগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দপ্তরে নেই, তবে কোনো ছুটি ঘোষণা করা হয়নি।
একজন কর্মকর্তা জানান, সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রম হয়নি। এরপরে কিছু কিছু কর্মকর্তা তাদের কাজ শুরু করেছেন, তবে অনেকে আবার বের হয়ে যাচ্ছেন।
কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বিকেল চারটায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনাতে জরুরি একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১টা ৫২ মিনিটের দিকে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার।
এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে সেখানকার আগুন।