দ.কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা: নিহত দেড় শতাধিক, জীবিত উদ্ধার ২, বাকিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/12/29/01ca6ba0-c585-11ef-ba8f-f93ad0af50b9.jpg.jpg)
দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, ১৮১ জন আরোহীকে নিয়ে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। খবর বিবিসির।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেশটির একজন দমকল কর্মকর্তা বলেছেন, এখন পর্যন্ত একজন যাত্রী ও একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দেশটির ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি ধারণা করছে, এই দুইজন জীবিত ব্যক্তি ছাড়া বোর্ডে থাকা বাকি সবাই মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দুর্ঘটনার শিকার জেজু এয়ারের বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিমানবন্দরের দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়।
এ সময় বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট ছিলেন। বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফিরেছিল এবং অবতরণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইয়োনহ্যাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং ২ জন থাই নাগরিক ছিলেন।
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/12/29/6770ebdf77d7363527520eeb.jpeg)
ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া দুজন ব্যতীত নিখোঁজ সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে তারা এই অনুসন্ধান অভিযানকে মরদেহ উদ্ধার অভিযানে রূপান্তর করতে যাচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে ৫৪ জন পুরুষ এবং ৫৭ জন নারী রয়েছেন। উদ্ধারকৃত বাকি ১৩টি মরদেহ নারী না-কি পুরুষের, তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা ইয়োনহ্যাপকে বলেন, "বিমানটি দেওয়ালের সাথে ধাক্কা লাগার পর যাত্রীরা ছিটকে পড়ে। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।"
"বিমানটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ অবস্থায় নিহতদের শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা দেহাবশেষ উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় আছি, এতে সময় লাগবে," যোগ করেন তিনি।
জীবিত উদ্ধার একজন যাত্রী ও একজন ক্রু সদস্যের- দুইজনই নারী বলে জানা গেছে। তাদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মোকপোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের মরদেহ রাখার জন্য মুয়ান বিমানবন্দরের ভেতরেই একটি অস্থায়ী মর্গ তৈরি করা হয়েছে।
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/12/29/6770e330e08d7aceed85ed42.jpeg)
এদিকে, দুর্ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিমানের সিস্টেমে পাখি আটকে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সির তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৪৯০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও ৪৫৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা-সহ মোট ১,৫৬২ জনকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।