গাজীপুরে থানায় আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে জামায়াতের তদবির
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশ মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল সিকদারকে আটক করে। তবে, জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে ছাড়ানোর জন্য থানায় তদবির চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে শুক্রবার রাত ৮টার পর জয়দেবপুর থানার সামনে কয়েকশো জামায়াত নেতাকর্মী ভিড় করেন। তাদের দাবি ছিল, "নির্দোষ ওই কর্মীকে থানা হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে।" তবে পুলিশ ও জামায়াত নেতারা থানা ঘেরাওয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, "মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল সিকদারকে থানায় আনা হয়েছে। পরে তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে কথা বলার জন্য গাজীপুর সদর জামায়াতের কতিপয় নেতা থানায় এসেছেন।"
গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "আটক শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন না। একারণে তিনি পরে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, "অন্য একটি দলের নেতারা তাকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাদের দলে যোগ না দেওয়ার কারণে তারা তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। এ কারণে তার বিষয়ে কথা বলার জন্য জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ থানায় গিয়েছেন।"
গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অনুমোদিত কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে শফিকুল সিকদারের নাম ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
থানা এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা চললেও, শফিকুল সিকদার আসলে কোন দলের সক্রিয় সদস্য তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।