শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১০ গ্রুপের অর্থপাচার অনুসন্ধানে ১১ টিম পুনর্গঠন
দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ১০ শিল্পগোষ্ঠীর অবৈধ অর্থ উপার্জন, কর ফাঁকি ও অর্থপাচার খতিয়ে দেখতে যৌথ তদন্ত কমিটিগুলো বাতিল করে একইদিনে ১১টি তদন্ত টিম পুনর্গঠন করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এই অনুসন্ধানে শীর্ষ ১০ গ্রুপের সঙ্গে শেখ হাসিনার পরিবারকেও যুক্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের নেতৃত্বে থাকবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে, গত ৬ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ হতে বিএফআইইউকে টিম গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বিএফআইইউকে উল্লেখ করে বলা হয়, "শীর্ষ এই গ্রুপগুলোর দুর্নীতি, প্রতারণা ,জালিয়াতি , মুদ্রা পাচার এবং কর ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধসহ মানি লন্ডারিংয়ে অনুসন্ধানে দুদক, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমন্বয়ে যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা যেতে পারে। এই তদন্তে দুদক নেতৃত্ব দেবে।"
বিএফআইইউ'র একজন কর্মকর্তা বলেন, "টেকনিক্যাল কিছু ত্রুটির কারণে আমাদের আগের করা ১০টি টিম নতুন করে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার পরিবারকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে কোনো টিমকে বাতিল করা হয়নি। অনুসন্ধান টিমের কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে।"
এর আগে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ১০ শিল্পগোষ্ঠীর অবৈধ অর্থ অর্জন, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার খতিয়ে দেখতে যৌথ তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৬টি গ্রুপের তদন্তের নেতৃত্ব ছিল দুদক ও ৪টির নেতৃত্বে ছিল সিআইডি। তদন্ত শেষে এসব প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার কথা ছিল সংস্থা দুটির।
দুদক ও সিআইডির যৌথ এই তদন্ত সমন্বয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আর তাদের আইনি সহায়তা দিচ্ছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল।