সরকারের ভুল শুধরাতে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সালাহ উদ্দিন আহমেদ
সরকারের কিছু ভুল শুধরিয়ে সঠিক রাস্তায় এনে গণতান্ত্রিক রাস্তা বিনির্মাণের জন্য এবং একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের পথ পরিষ্কার করার জন্য খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান: গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, "আমাদের দলের পক্ষ থেকে চিন্তা করেছি, সরকারের কিছু ভুল শুধরিয়ে সঠিক রাস্তায় এনে গণতান্ত্রিক রাস্তা বিনির্মাণের জন্য এবং একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের পথ পরিষ্কার করার জন্য খুব দ্রুত আমরা কিছু পদক্ষেপ নিবো। সেটাকে সরকার আন্দোলনও বলতে পারে, সমালোচনাও বলতে পারে।"
তিনি আরো বলেন, "বাংলাদেশে আইনের শাসন কীভাবে হবে, সেটা দেশের মানুষ ঠিক করবে, বাইরের কোন শক্তি না। আমাদের সামনে যাওয়ার একটাই পথ, বিভেদ হবে, মতামতের পার্থক্য হবে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে সিদ্ধান্ত হবে।"
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "এই সরকার নির্ভুল নয়, ভুল করবে। কিন্তু আমাদের সঠিক সমালোচনা করতে হবে। আজকের দিনে প্রশ্ন হচ্ছে কি কি সংস্কার চাই, কখন নির্বাচন চাই। আমরা যদি এই সরকারকে সফল করতে চাই, তাহলে গাইড করার জন্য যথেষ্ট সমালোচনা করতে হবে প্রয়োজনে সড়কেও আন্দোলন করতে হতে পারে সরকারকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য।"
সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট প্রদানের ১৪ দিন হলেও রাজনৈতিক দল ও সামাজিক দলগুলোর সাথে বসার বিষয়ে এখনো সরকারের পদক্ষেপ দেখা যায়নি উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন বলেন, "কমিশনের প্রতিবেদনে কি সকল বিষয়ে এসেছে, অবশ্যই না। আবার কিছু বিষয় কি অতিরিক্ত এসেছে, অবশ্যই হ্যাঁ। আবার কিছু বিষয় এসেছে যেগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না, ইউটোপিয়ান আইডিয়া। আবার কিছু বিষয় আসছে যেগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কালচারে যায় না। সংস্কার কমিশনে যারা ছিলেন, তারাও মানুষ। তারা যে ১০০ শতাংশ সঠিক হবে না, সেজন্যই আলোচনা।"
তিনি বলেন, "এর মধ্যে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ১৯৭১ সালের সাথে একই প্যারায় ২০২৪ সালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার সাথে কি অন্য আন্দোলনের কথা একইভাবে উল্লেখ করা যায় কি না, সেটি ভাবতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সমকক্ষ অন্য কিছু প্রস্তাবনায় রাখা বিস্তর আলোচনার দাবি রাখে।"
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া প্রমুখ।