তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
গুলশান ট্রাফিক জোনের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার জিয়াউর রহমান জিকো শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিষয়টি টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজের সাম্নের সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় অবস্থান নিয়ে তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে 'তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। এ সময় তারা ৭ দফা দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম 'তিতুমীর ঐক্য'-এর সাত দফা দাবিগুলো হলো:
তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।
দীর্ঘদিন ধরেই তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীরা ফের তাদের দাবি নিয়ে মাঠে নামেন করে এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব জমা দেয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে শুরু করেন।
এই প্রেক্ষাপটে ৫ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, কলেজগুলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে। বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
তবে তিতুমীর কলেজের একদল শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাদের প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবি জানান। দাবি আদায়ের জন্য তারা মহাখালী মোড় ধরে অবরোধ করে এবং নিকটবর্তী রেল ক্রসিংয়ে উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলও ব্যাহত করে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারলে ২৫টি জানালা ভেঙে যায় এবং ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী আহত হয়।