এবারের বাণিজ্য মেলায় বিক্রি ৫০ ভাগ বেড়েছে বলে ধারণা উপদেষ্টার
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পণ্য বিক্রি ৫০ ভাগ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'গতবছরের তুলনায় এবার আমাদের ভ্যাট কালেকশন ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ধারণা করা যায় এই বছর বাণিজ্য মেলায় বেচাকেনা গত বছরের থেকে ৫০% বেড়েছে।'
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) মেলার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, 'এবার ভ্যাট কালেকশন হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। ২০২৪ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া ৩ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির আদেশ মিলেছিল, দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৯২ কোটি টাকার সমান।'
এবার মেলা থেকে কোনো রপ্তানি আদেশ এসেছে কি-না আসলে কি পরিমাণ এসেছে এ প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, 'এখান থেকে রপ্তানি আদেশের তেমন সম্ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও আমরা একটা সোর্সিং কর্নার স্থাপন করেছি। এটা প্রথমবারের মতো করা হলো।'
তিনি বলেন, 'এটা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল আমরা যেন জানতে পারি আমাদের কি ধরনের পণ্য বিদেশে যায়। এটা অবহিতকরণের একটা প্রচেষ্টা। আরেকটা ছিল যারা বিদেশ থেকে আসে তাদের সঙ্গে একটা সংযোগ তৈরি করা।'
এছাড়া, এদিন বিকেলে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক মেলা বলা হলেও, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখানে কম।'
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এর কারণ এক মাসব্যাপী মেলায় অংশগ্রহণ করা বিদেশিদের জন্য সহজ নয়।'
তিনি আরও বলেন, 'এছাড়া বাংলাদেশে বিশেষায়িত যেসব পণ্য রয়েছে; যেমন- গার্মেন্টস বা অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি, এগুলোর জন্য আলাদা মেলা হয়ে থাকে। সেখানে আন্তর্জাতিক অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। এখানে এক মাসব্যাপী একটি মেলায় অংশগ্রহণ বিদেশীদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল। এর জন্য তারা খুব একটা উৎসাহ দেখান না।'
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের স্থনীয় আমদানি উদার নীতি করতে হবে। পণ্য আমদানিতে প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব নয়, নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে সার্বিকভাবে মনোযোগী হন।'
তিনি আরও বলেন, 'ব্যক্তি খাতে মধ্যে পণ্যর উৎপাদন বাড়াতে হবে, ব্যবসায়ীক ব্যায় কমাতে হবে। তা না হলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা কঠিন হবে। তাই ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।'
সার্বিকভাবে এবার মেলার পরিবেশ সুশৃঙ্খল ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া আগামী মেলা আরও সুশৃঙ্খল ও সুচারু করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা।