চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/02/judge_hammer_0.jpg)
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একইসঙ্গে আদালত আসামিকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সুমন (৩৫) ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার মির্জারহাট এলাকার বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, আসামি সুমনের বিরুদ্ধে তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মনি আক্তারসহ গর্ভজাত সন্তানকে খুন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পরে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি অনুযায়ী, চার বছর আগে নিজ এলাকার মনি আক্তারের সঙ্গে প্রেমের পর বিয়ে করেন সুমন। সে এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছিল, তবে তা গোপন রাখে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য মনি আক্তারকে নির্যাতন করতো।
সুমনকে একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও নির্যাতন থামেনি। এ অবস্থায় ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মনিকে তার পৈতৃক বাড়ি ভুজপুরে নিয়ে আসে সুমন। সেখানে গিয়ে টাকা চেয়ে না পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার পথে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ভুজপুর থানার কালিকুঞ্জ এলাকায় এসে সুমন তার স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন করে। এরপর মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
২৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন মনি আক্তার। এ ঘটনায় দুইদিন পর ২৭ নভেম্বর মনি আক্তারের ভাই মো. আব্বাস বাদি হয়ে মামলা করেন।
২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।