২.৩৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, রামপালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, মাঠকর্মী দম্পতির নামে দুদকে মামলা
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/04/palli-shanchay-bank.jpg)
বাগেরহাটের রামপালে গ্রাহকের ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের রামপাল শাখা ব্যাবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মী খান নুরুল আমিনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সমীরন কুমার মন্ডল বাদি হয়ে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/২০১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭,এর ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শাখা ব্যাবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মী খান নুরুল আমিন— দুইজন স্বামী ও স্ত্রী। তারা রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, আসামিরা সদস্য বর্হিভূত ঋণ প্রদান করে টাকা আত্মসাৎ, ঋণ প্রদানকালে সদস্যদের সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে টাকা হস্তমজুত এবং কিস্তি থেকে টাকা নিজের কাছে রেখে আত্মসাৎ করেন। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে এবং তার স্বামী খান নুরুল আমীন মাঠ সহকারী হিসেবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক রামপাল শাখায় দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরও জানান, হামিমা সুলতানা ও নুরুল আমিন যোগসাজশে বিভিন্ন গ্রাহককে ঋণ বা ঢেউ টিন দেওয়ার কথা বলে— জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ করে সমিতির সদস্য না এমন ব্যক্তিদের নামে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে টাকা নিজেদের হাতে রাখতেন। হামিমা সুলতানা এককভাবে ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। আর নুরুল আমিন, মাঠ সহকারীর দায়িত্ব পালনকালে ঋণ বিতরণের সময় সদস্যকে স্বাক্ষর করিয়ে— সদস্যকে আংশিক অর্থ দিয়ে বাকী টাকা তিনি আত্মসাৎ করতেন। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক থাকাকালীন তিনি এবং তার স্বামী এসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, নুরুল আমিন বাগেরহাটের মোট ২৩টি সমিতি থেকে ও ৫ জন জনের সঞ্চয়ী হিসাবে গড়মিলসহ মোট ৩৯৪ জন সদস্যের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যের জমাকৃত সঞ্চয় হতে ১,০২,৪৬৪ টাকা, ঋণের কিস্তি থেকে ৪০,৩৭,২১৩ টাকা, ভুয়া ঋণ ৬৪,৯৬,০০০ টাকা, ঋণ বিতরণকালীণ হস্তমজুত ৬৩,৪৭,৬৮০ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৭ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া রামপাল উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন থেকে ভূয়া ঋণ দেখিয়ে মোট ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামি হামিমা সুলতানা ও নুরুল আমিন পরস্পর যোগসাজশে মোট ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাৎ করতছেন। তারা আত্মসাৎ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করার-ও চেষ্টা করেন এবং অধিকাংশ রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করে ফেলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।