মনের মতো দল পেয়ে দারুণ কিছুর আশায় মিঠুন
পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ মঙ্গলবার মাঠে গড়িয়েছে। প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি ম্যাচ। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মিশন শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হবে দলটি। মাঠের লড়াই শুরুর আগে দল নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। মনের মতো দল পাওয়ায় দারুণ কিছুর আশায় ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হকদের মতো ব্যাটসম্যানকে দলে পেয়েছেন মিঠুন। পেস আক্রমণ সামলানোর জন্য আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামরা। স্পিন ভেল্কি দেখাতে প্রস্তুত তাইজুল ইসলাম, রাকিবুল হাসানরা। এ ছাড়া তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়সহ শামসুর রহমান, জিয়াউর রহমানদের মতো অভিজ্ঞদের নিয়ে সাজানো হয়েছে চট্টগ্রাম। '
এমন একটি দল পেয়ে দারুণ খুশি মিঠুন। স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে ফল নিজেদের পক্ষে আসবে বলেই বিশ্বার তার, 'আমি আমার দল নিয়ে অনেক খুশি। আমরা একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল। এখন মাঠে প্রমাণ করতে হবে যে আমরা দল হিসেবে কতটা ভালো। আমি মনে করি, আমরা যদি স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি, আমাদের যে দল, ইতিবাচক ফলাফলই আসবে।'
লিটন, সৌম্যদের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান থাকলেও এককভাবে কারও ওপর ভরসা করতে চান না মিঠুন। দলগতভাবেই সাফল্য ছুঁয়ে দেখতে চান তিনি, 'আমরা একটা দল, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আমি একা কাউকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী না, আমরা দলকে নিয়ে বেশি আশাবাদী। আমরা জানি লিটন এবং সৌম্যর সামর্থ্য কী। তাদের দিনে তারা একা হাতেই ম্যাচ জেতাতে পারে। সে সক্ষমতা তাদের আছে।'
লিটন-সৌম্যরা বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে রানের দেখা না পেলেও তা নিয়ে চিন্তিত নন মিঠুন, 'প্রত্যেকটা নতুন ম্যাচ। এই পর্যায়ে খেলতে এসে আমার মনে হয় না কোনো খেলোয়াড় শেষ দুই-তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করে। সেটা উচিতও নয়। আপনি একটা ম্যাচ ভালো খেললে সবাই পেছনের সবকিছু সবাই ভুলে যায়। পেছনের কথা চিন্তা না করে নতুন টুর্নামেন্ট, নতুন একটা সুযোগ; এভাবেই চিন্তা করা উচিত।'
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে মুস্তাফিজও নিজের মানের পারফরম্যান্স করতে পারেননি। চার ম্যাচে ৮ উইকেটে পেলেও আগের মুস্তাফিজকে দেখা যায়নি। এ নিয়েও ভাবছেন না মিঠুন। পাশাপাশি তরুণ শরিফুলেও আস্থা আছে চট্টগ্রামের অধিনায়কের।
মিঠুন বলেন, 'আমরা সবাই জানি মুস্তাফিজের সক্ষমতা সম্পর্কে, আমরা জানি ও কী করতে পারে। ওর ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নাই। শরিফুল খুবই মেধাবী একজন খেলোয়াড়। ভালো গতি আর নিয়ন্ত্রণ আছে। আর মেহেদী একেবারেই নতুন। নেটে যতটুকু দেখেছি, ওর নিয়ন্ত্রণ অনেক ভালো। এ ছাড়া সৌম্য, জিয়া ভাইরা দুই-তিন ওভার করার মতো সামর্থ্যবান।'
মুশফিকুর রহিমের ঢাকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাচ্ছে চট্টগ্রাম। মিঠুনের ভাষায়, 'কাল খেলার আগে হয়তো অনেকে চিন্তা করেছে খাতা-কলমে কারা কতটা শক্তিশালি। কিন্তু গতকালের খেলায় একটা পরিষ্কার ধারণা হয়েছে মাঠের ক্রিকেটটা গুরুত্বপূর্ণ খাতা-কলমের চেয়ে। উইকেট দেখে আমার মনে হয়েছে খুব ভালো উইকেট, হাই স্কোরিং মনে হয়েছে। এমন উইকেট যদি পুরো টুর্নামেন্টে থাকে। যত দিন যাবে ততো আরও ভালো ক্রিকেট সবাই দেখবে আশা করি।'
দলের অধিনায়কত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত মিঠুন। দলের ম্যানেজমেন্টর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি প্রিভিলেজড, আমাকে যোগ্য মনে করেছে। আমি অবশ্যই আমার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করব আমার নিজের এবং দলের সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনতে। মাত্র টুর্নামেন্ট শুরু, আমি ভবিষ্যত চিন্তা করি না। বর্তমানে থাকতেই বেশি পছন্দ করি। আমার লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ।'
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলী, মুমিনুল হক, রাকিবুল হাসান, সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয় ও মেহেদী হাসান।