স্পুটনিক-ফাইভ টিকার আরও ৩০ কোটি ডোজ উৎপাদনে চুক্তি করেছে রাশিয়া
আগামী বছর নাগাদ রাশিয়ায় আবিষ্কৃত স্পুটনিক-ফাইভ টিকার ৩০ কোটি ডোজ উৎপাদন করবে ভারত। কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাটি নিয়ে একজন জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তা এতথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বেশকিছু ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে চুক্তি করার ফলে উৎপাদনের সক্ষমতা আগের চাইতে তিনগুণ বেড়েছে।
স্পুটনিক-ফাইভ টিকাটির গবেষণা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে। রুশ সরকারের বিনিয়োগ সংস্থা- রাশিয়া ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) এতে বিনিয়োগ করে।
আজ শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস আরডিআইএফ প্রধান কিরিল দিমিত্রায়াভের উদ্ধৃতি দিতে প্রকাশিত এক সংবাদ তাদের টুইটার পেজে পোস্ট করে। সেখানে দিমিত্রায়েভ জানান, ভারতে উৎপাদিত টিকার মান পরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যেই রাশিয়ায় শুরু হয়েছে। খবর গালফ টুডের।
'ভারতে আমরা চারটি ওষুধ প্রস্তুতকারকের সঙ্গে চুক্তি করেছি। আগামী বছর নাগাদ ভারত আমাদের জন্য ৩০ কোটি ডোজ উৎপাদন করবে,' রাশিয়া ২৪ টিভিকে তিনি বলেছেন। বার্তা সংস্থা তাসও বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম লাইসেন্স ওষুধ উৎপাদক। দেশটির ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের বড় কোম্পানিগুলো এখন অন্যান্য ওষুধের উপাদন কমিয়ে টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন বিনিয়োগ করছে। কোভিড-১৯ টিকা পাওয়ার বৈশ্বিক চাহিদা পূরণেি তারা এমন পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে।
ভারতের হেটেরিও বায়োফার্মা ইতোমধ্যেই ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনে আরডিআিএফ- এর সঙ্গে চুক্তি করার কথা ঘোষণা করেছে। ভারতের বাইরে চালানো ট্রায়ালে কোভিড প্রতিষেধকটি ৯১ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়।
এর বাইরে অন্য কোন কোন ভারতীয় সংস্থা টিকাটি উৎপাদন করবে তা স্পষ্ট নয়। তবে সম্ভাব্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান হতে পারে ডা. রেড্ডিস ল্যাবরেটরিজ। এর আগে কোম্পানিটি ভারতে এই টিকার ট্রায়াল চালানো এবং তা বিতরণের জন্য চুক্তি করে।
এদিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দেন যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটি রুশ ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিতে পারে। এপর্যন্ত কেবল তিনটি টিকা দেশটির নিয়ামক সংস্থার কাছে এ স্বীকৃতির আবেদন করেছে। এরমধ্যে দুটি হলো অক্সফোর্ড/ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। আরেকটি টিকার অনুমোদন চেয়েছে স্থানীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক।