কার ঝুলিতে কোন পুরস্কার
বিসিবি প্রেসিডন্টস কাপের পর আরও একটি টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জমজমাট লড়াইয়ের পর ২৬ দিনের মাথায় পর্দা নামলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের। শুক্রবার মিরপুরে রোমাঞ্চকর ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে জেমকন খুলনা।
দলের দুঃসময়ে সত্যিকারের নেতা হয়ে উঠেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান পাঁচ নম্বরে নেমে খেলেন শেষ পর্যন্ত। শুরুতে রয়েসয়ে ব্যাট চালালেও শেষটা করেন খুনে। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা। ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহর ৭০ রানের মহামূল্যবান ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান তোলে খুলনা।
জবাবে টপ অর্ডার সেভাবে দলকে এগিয়ে নিতে না পারলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন সৈকত আলী। কিন্তু তার ৫৩ রানের ইনিংস যথেষ্ট হয়নি। ৬ উইকেটে ১৫০ রানে শেষ হয় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ইনিংস।
ফাইনাল শেষে জয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আর্থিক পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয় এ সময়। কার ঝুলিতে কোন পুরস্কার উঠেছে, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট ও বেস্ট বোলার অব দ্য টুর্নামেন্ট: টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে ১০ ম্যাচে সবচেয়ে কম ৬.২৫ ইকনোমিতে ২২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল: ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ৪৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৭০ রান করেন।
বেস্ট ব্যাটসম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন লিটন কুমার দাস। চট্টগ্রামের ডানহাতি এই ওপেনার পুরো আসরে দারুণ ফর্মে ছিলেন। ১০ ম্যাচে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৪৯.১২ গড়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৩৯৩ রান করেছেন লিটন।
স্পেশাল পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড (চার জন):
নাজমুল হোসেন শান্ত: মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে নেতৃত্ব দেওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্বার। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করা শান্ত ৮ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৭.৬২ গড়ে ৩০১ রান করেন। যা টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
পারভেজ হোসেন ইমন: ফরচুন বরিশালের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলা পারভেজ হোসেন ইমন দারুণ ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ৯ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৯.১২ গড়ে ২৩৩ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শরিফুল ইসলাম: যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের আরেক সদস্য শরিফুল ইসলাম বল হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন। বাঁহাতি এই পেসার গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬ উইকেট।
রবিউল ইসলাম রবি: বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে খেলা রবিউল ইসলাম রবি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নেন। ৮ ম্যাচে তার শিকার ১৩ উইকেট।
প্রাইজমানি:
ক্যাটাগরি | টাকার পরিমাণ |
চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেক সদস্য পাবে |
১,৫০,০০০/- |
রানার-আপ দলের প্রত্যেক সদস্য পাবে |
৭৫,০০০/- |
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট |
৩,০০,০০০/- |
প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল |
১,০০,০০০/- |
টুর্নামেন্ট সেরা ব্যাটসম্যান |
২,০০,০০০/- |
টুর্নামেন্ট সেরা বোলার |
২,০০,০০০/- |
স্পেশাল ৪ জন পারফর্মার |
১,০০,০০০/- |