ভারতে ভেসে গিয়ে বাংলাদেশি জাহাজ পরিণত হচ্ছে রেস্তোরাঁয়
এম.ভি. মা নামে বাংলাদেশের পরিত্যক্ত এক কার্গো জাহাজকে এবার ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ভাসমান রেস্তোরাঁয় পরিণত করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট উত্তাল বাতাসের তোড়ে জাহাজটি জলমগ্ন তীরে ভিড়ে। দুটি নোঙ্গরের একটি ভেঙে যাওয়ায় এটি সেখানেই আটকে যায়।
রাজ্য পর্যটনমন্ত্রী মুত্তামসেট্টি শ্রীনিবাস রাও জানান, জাহাজটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসতে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করছেন। শিগগিরই যথাযথ পরিবর্তনের মাধ্যমে জাহাজটিকে একটি ভাসমান রেস্তোরাঁয় পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এ ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া গেলে তা পর্যটনের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে ধারণা অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের। রাজ্যটির বিশাখাপত্তনমে ইতোমধ্যেই আইএনএস কুরসুরা সাবমেরিন জাদুঘর এবং টিইউ-১৪২ বিমান জাদুঘরের মতো দুটো ভিন্নধর্মী অবকাঠামো রয়েছে।
এদিকে, ১৪ নভেম্বর মার্কিনভিত্তিক রিজলভ মেরিন সংস্থার সাহায্যে জাহাজটি পুনরুদ্ধারের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
এরপর আন্তর্জাতিক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পরিদর্শক বি.ভি. রত্নম পিএনআই ইনসুরেন্স ক্লাব, জাহাজের মালিক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জাহাজের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ক্রুদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করেন।
তিনি জানান, মেরিন লেবার কনভেনশান (২০০৬) অনুযায়ী, কোনো জাহাজকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলে সেটির ক্রুদের মজুরি এবং তাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব বীমা প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্পিত হবে।
জাহাজটি চরে এসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী এবং বন্দরের কর্মকর্তারা তেল বিচ্ছুরণ রোধ করতে জাহাজ থেকে জ্বালানী অপসারণের জন্য মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছিল।
এছাড়া গিল মেরিন নামে স্থানীয় এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তির পর তারা ১.৮৯ লিটার তেল অপসারণ করতে সক্ষম হয়। এর ফলে সমুদ্র দূষণের আশঙ্কা অনেকটাই হ্রাস করা গেছে।
পরিত্যক্ত জাহাজটি এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের বস্তুতে পরিণত হয়েছে। সমুদ্রের পাশে অবস্থিত পার্ক থেকে এটিকে দেখতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন।
সূত্র: দ্য সিয়াসাত ডেইলি