সাকরাইন: ঢাকার আকাশে উড়বে ১০ হাজার ঘুড়ি
পৌষ সংক্রান্তিতে (পৌষ মাসের শেষ দিন) পুরান ঢাকায় সাকরাইন বা ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করার ঐতিহ্য বেশ পুরানো। এবার এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১৪ জানুয়ারি ভিন্ন এক উদ্যেগ গ্রহণ করেছে।
ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।
তিনি জানান, কাউন্সিলরদের কাছে ১০০ করে মোট ১০ হাজার ঘুড়ি সরবরাহ করা হবে। এর বাইরে যারা চাইবেন, তারাও নিজ বাড়ির ছাদ থেকে নিজের ঘুড়ি নিয়ে এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন।
'এসো ওড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি' স্লোগানে প্রথমবারের মতো এ উৎসব হবে বেলা দুইটা থেকে শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব হবে।
উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ বলেন, সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় এই ঐতিহ্য পুরান ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি, সাকরাইন উৎসব-আমাদের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, তাই ঢাকার ঐতিহ্য লালন, সংরক্ষণ এবং প্রসারে ডিএসসিসির মেয়র যে রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সে ধারাবাহিকতায় আমরা প্রথমবারের মতো এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছি।
সাকরাইন উৎসব-১৪২৭ আয়োজন প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঐতিহ্যে সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে পৌষসংক্রান্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রথমবারের মতো ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ আয়োজন পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনতে একটি মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
পুরনো ঢাকার বাসিন্দা অনিন্দিতা রায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এই দিনটা আমাদের জন্য বেশ আনন্দের। যান্ত্রিক নগরে ব্যস্ততার ভীড়ে আসলে ওভাবে নিজেকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে খুব একটা আড্ডাও দেওয়া হয় না। আর আমাদের প্রস্তুতি কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন ডিজাইনের ঘুরি সংগ্রহ করেছি। আরও নতুন নতুন ডিজাইন খুঁজতেছি।
তিনি বলেন, তবে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সময় কড়াকড়ি আরোপ করে। সেটাতে এবার একটু শিথিলতা থাকলে মনে হয়, ভালো হবে।