সাকিব-তামিমদের কাছে চাওয়া নেই মুমিনুলের!
শিরোনাম দেখে খটকা লাগতে পারে। প্রশ্ন জাগতে পারে, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটারের কাছে চাওয়া নেই মুমিনুল হকের? আদতে এমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তামিম-সাকিবদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে টেস্ট অধিনায়কের অনেক চাওয়া। তবে অধিনায়কত্ব পালনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে চাওয়া নেই তার। মুমিনুলের বিশ্বাস, সিনিয়ররা জানেন কীভাবে জুনিয়রের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হয়।
মুমিনুল হকের অধিনায়কত্ব পাওয়ার ১৫ মাসের মতো হয়ে গেছে। দায়িত্ব পেয়ে চারটি টেস্টে নেতৃত্বও দিয়েছেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এরপরই বিরতি, করোনাভাইরাসের প্রকোপে দীর্ঘদিন দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ হয়নি তার। করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। অধিনায়ক মুমিনুলও নতুন শুরুর অপেক্ষায়।
সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় মুমিনুলের কাঁধে ওঠে টেস্টের অধিনায়কত্ব। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফিরলেও মুমিনুলই নেতৃত্বে আছেন। দলকে পথ দেখানোর মিশনে মাঠে সাকিব, তামিম, মুশফিকদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের পাশে পাবেন তিনি।
সিনিয়রদের কাছ থেকে কোনো চাওয়া থাকবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মুমিনুল বলেন, 'সিনিয়র যারা আছেন, তারা অনেক দিন থেকে ক্রিকেট খেলছেন। সবাই পেশাদার। আমার চাওয়ার কিছু নেই। উনারাই জানে কীভাবে আমাকে সহায়তা করতে হবে। আমার বাড়তি কিছু চাওয়ার দরকার নেই। আমি খুবই খুশি উনারা আমাকে যেভাবে সমর্থন করছেন, প্রতিটি পরিস্থিতি সামলাতে যেভাবে পাশে থাকছেন।'
নতুন শুরুর পর্বে মুমিনুলের সামনে মিশন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জুহর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট নিয়ে রোমাঞ্চিত তিনি। নতুন শুরুর বিষয়টিকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি।
মুমিনুল বলছেন, 'এক বছর পর ক্রিকেটে ফেরা। আমার কাছে মনে হয় এক বছর পর যেহেতু ফিরছি, নতুন করে আরেকটা সুযোগ এসেছে টেস্ট ক্রিকেট নতুনভাবে শুরু করার। এটাকে সুযোগ হিসেবেই দেখছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। ওটার চেয়ে আমি যে জিনিসটা ভাবছি, আমরা দল হিসেবে ভালো পারফর্ম করার, নতুন করে শুরু করার সুযোগ পাচ্ছি।'
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম তিন টেস্টেই ইনিংস হার দেখতে হয় মুমিনুলকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে নিয়েছেন জয়ের স্বাদ। অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড সমৃদ্ধ না হলেও আগ্রাসী নেতৃত্বই পছন্দ মুমিনুলের, 'আমি সব সময় আগ্রাসী অধিনায়কত্ব করতে পছন্দ করি। রক্ষণাত্মক অধিনায়কত্ব আমার অতটা পছন্দ নয়। ম্যাচের পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় অন্যরকম হয়। তবে আমি আক্রমণাত্মক থাকতেই পছন্দ করি।'