সাকিবের খেলা নিয়ে শঙ্কা
৩৯ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হয় তার সেঞ্চুরির আশায়। সেঞ্চুরিতে না পৌঁছাতে পারলেও সাকিব খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রানের স্বস্তির সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় দিন শেষে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ শিবির। সাকিবের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পুরনো চোট কুঁচকিতে টান পড়ে সাকিবের। ৬ ওভার বোলিং করলেও অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারে। দিনের খেলার ঘণ্টা খানেক মাঠের বাইরেই ছিলেন তিনি। তৃতীয় দিনে সাকিব মাঠে নামতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আপাতত বিশ্রামে আছেন। তাকে পর্যবেক্ষণ করছেন জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতো। সকালের আগে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম।
তিনি বলেন, 'কিছুটা অস্বস্তি থাকায় সাকিব ফিল্ডিং ছেড়ে উঠে এসেছিল। সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সাকিবকে ফিজিও দেখছেন। সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব, এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সে খেলতে পারবে কি না।'
একই কথা জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক মঞ্জুর হোসাইন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'সাকিব অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। বর্তমানে ভালো অনুভব করছে না। সে এখন ফিজিওর তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না, কারণ ফিজিও তাকে দেখছেন। জটিল কিছু হলেই কেবল আমরা বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত হব।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কুঁচকিতে টান পড়ে সাকিবের। এরপর আর ফিল্ডিং করেননি তিনি। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। স্ক্যান রিপোর্ট ভালো আসায় তাকে অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হয়।
কয়েকদিন অনুশীলন করে পুরো ফিট না হলেও চট্টগ্রাম টেস্টে তাকে একাদশে নেওয়া হয়। কিন্তু মাঠে ফিরে পুরনো চোটেই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে নিজের তৃতীয় ওভার করছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে নিজেই ফিল্ডিং করতে গিয়ে কুঁচকিতে টান পড়ে তার।
টান পড়ার অস্বস্তি স্পষ্ট ছিল তার চেহারায়। সময় নিয়ে ওভারটি শেষ করেন সাকিব। কিছুক্ষণ ফিল্ডিং করে দ্বিতীয় স্পেলে আরও তিন ওভার বোলিং করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। নিজের ষষ্ঠ ওভারটি করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। এরপর আর মাঠে ফেরেননি তিনি।