বিদেশি বিনিয়োগকারী আকর্ষণে পাকিস্তানকে ছাড়াল বাংলাদেশ
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ অর্জনের তথ্য জানা গেল মার্কিন গবেষণা সংস্থা- মিলকেন ইনস্টিটিউটিটের ২০২১ সালের গ্লোবাল অপারচ্যুনিটি ইনডেক্স- সূত্রে।
এবারের র্যাংকিং সারণীতে বাংলাদেশ আগের বছরের চেয়ে সাত ধাপ উপরে উঠেছে। তারপরও, অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দিক থেকে পাকিস্তানের পরেই সবচেয়ে বাজে গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানে পরিবর্তন আসেনি।
সারণীর মোট ১৪৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১১৪তম স্থান। তারপরেই ১১৫তম অবস্থানে আছে পাকিস্তান।
এই উন্নতিকে স্বাগত জানিয়ে নীতি গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'এপর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আমরা বেশ সফলতা দেখিয়েছি।'
তবে তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের উচিৎ বিশ্ব ব্যাংকের সহজে ব্যবসা করার বৈশ্বিক সূচক- ইজ অব ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্সে অগ্রগতি করা এবং সেজন্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া উচিৎ।
কোনো দেশে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাইয়ে ৯৬টি বিভিন্ন ধরনের প্রভাবককে বিশ্লেষণ করে মিলকেন। এরমধ্যে আছে; সামষ্টিক অর্থনীতির পূর্বাভাস, ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনা ও উন্নয়নের সুযোগ এবং আর্থিক সেবা পাওয়ার মতো বিষয়।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারতকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে অবহিত করে।
ভারতের পর আছে ভুটান (৮৭তম) অবস্থানে। এরপর, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের অবস্থান যথাক্রমে; ৯৫ ও ১০৩তম। বিশ্লেষণ থেকে মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানকে বাদ দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে তাদের প্রথম বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছিল মিলকেন। সেবছর বাংলাদেশ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম স্কোর পায়। আর ২০১৯ সালে আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিল দেশ। তখন পর্যন্ত সেটাই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স।
(সংক্ষেপিত)
মূল লেখা: Bangladesh overtakes Pakistan in attracting foreign investors