মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের ঘোষণা দিল নিউজিল্যান্ড
গত সপ্তাহের সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের সব ধরনের সম্পর্ক স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের নিউজিল্যান্ড সফরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই ঘোষণার পর নিউজিল্যান্ড নিশ্চিত করবে যে, দেশটির সহায়তা কর্মসূচি বা অন্য কোনো প্রকল্পগুলো থেকে মিয়ানমারের সামরিক সরকার যেন কোনোরকম সুবিধা না পায়।
"আমরা তাদের এই কঠোর বার্তা দিতে চাই যে নিউজিল্যান্ডে বসে যা যা করা সম্ভব, তার সবই আমরা করব। আমরা উচ্চ পর্যায়ের সব ধরনের আলোচনা স্থগিত করছি। মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে সুবিধা দেবে, এমন কোন সহযোগিতা বা সাহায্য আমাদের পক্ষ থেকে থাকছে না সেটিও নিশ্চিত করা হবে," বলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারকে ৪ কোটি ২০ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার সহায়তা দিয়েছে দেশটি।
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা এক বিবৃতিতে বলেন, নিউজিল্যান্ড মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনরূপ বৈধতা স্বীকার করে না এবং তারা সেনাবাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানায়।
মাহুতা আরও জানান যে, তার সরকার মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া তিনি দেশটিতে বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধারের আহবান জানান।
মিয়ানমারের সামরিক নেতা যদিও নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের এবং সে নির্বাচনে বিজয়ীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সু চি'র মুক্তির দাবিতে প্রতিদিনই আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসছেন হাজারও জনতা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংক কর্মকর্তা, সরকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক যুগেরও বেশি সময় পর মিয়ানমারে এতো বিশাল আকারে প্রতিবাদ হচ্ছে ।