‘সরকারের অনেক উন্নয়নই জনগণের কাজে আসে না’
সরকারের অনেক উন্নয়ন কাজই জনগণের কাজে আসে না বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, “আমরা অনেক উন্নয়ন কাজ করি, যা না করলেই ভাল হয়। আগের ধরাবাহিকতা বজায় রাখতে গিয়েই এসব কাজ করতে হয়। তবে গবেষণার মাধ্যমে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, যাতে জনগণের অর্থের সঠিক ব্যয় হয়।”
শনিবার রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে (এনএপিডি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেক্ষিত বাংলাদেশের উন্নয়নঃ সুযোগ ও সম্ভাবনা’’ শীর্ষক দুই দিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনএডিপির মহাপরিচালক আবুল কাশেম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “সরকার দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছে। ২০২১ থেকে ২০৪১ সালে পর্যন্ত পরিকল্পনা দলিলটি বোরবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হবে।”
প্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বর্তমান বাজার মূল্যে ২০৪১ সালে সাড়ে ১২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে। ২০৪১ সালের বাজার মূল্য অনুযায়ী মাথপিছু আয় হবে ১৬ হাজার ডলার।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হবে বঞ্চনা কমিয়ে মানুষকে মর্যাদাবান করা। এ জন্য গবেষণা করতে হবে। এজন্য সরকার সব ধরণের সহায়তা দিতেও প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ কারণে নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “এর আগে সরকার ২০১১-২০ মেয়াদে প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের পরিণত হয়েছে।”
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নে আগামী দিনের পরিকল্পনায় বেসরকারী বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স, রাজস্ব আদায়সহ কিছু বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। জিডিপি অনুপাতে আমাদের বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। যা বেশ উদ্বেগের বিষয়।