নজর নন্দীগ্রামে, গণনাকেন্দ্রে ভিড় করছেন তৃণমূল-বিজেপির নেতাকর্মীরা
তৃণমূল না বিজেপি, কার হাতে থাকবে রাজ্যের ভার? পাশাপাশি কে জিতবেন নন্দীগ্রামের যুদ্ধে? আজকেই মিলবে সব উত্তর। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে হলদিয়ার গণনাকেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন তৃণমূল এবং বিজেপি দু'পক্ষের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকরা।
তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধে জোড়াফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের এ দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত কার জয় হবে তা নিয়ে খোদ নন্দীগ্রাম তো বটেই, উত্তেজনায় ফুটছে গোটা রাজ্যও।
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোট গণনা হচ্ছে হলদিয়া মহকুমা শাসকের দফতরের অদূরে অবস্থিত হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুলে।
উত্তেজনার কথা মেনে নিলেন মমতার নির্বাচনী এজেন্ট সেখ সুফিয়ান। বললেন, ''রাতে বাড়িতে থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। শনিবার বিকেলেই দলবল নিয়ে হলদিয়ার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে আসি।''
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রলয় পাল বলেন, ''খুব সকালেই গণনাকেন্দ্রে হাজির হতে হবে। দাদা (শুভেন্দু অধিকারী)-র জয়ের ব্যাপারে আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত। তবে ভোরবেলা এতটা পাড়ি দেওয়া যাবে না। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে শনিবার বিকেলেই হলদিয়া পৌঁছে গিয়েছি।''
আপাতত ২৯৪ এর মধ্যে ২৯২টি আসনের ফল ঘোষণা হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নির্বাচনের আগেই প্রয়াত হয়েছেন দুই প্রার্থী। সেখানে নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের পরেও এক প্রার্থীর জীবনাবসান হয়েছে, তবে সেখানে গণনা চলবে।
নন্দীগ্রামে এগিয়ে আছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম রাউন্ড শেষে ১৪৯৭ ভোটে এগিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে লিড বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪৬০। তৃতীয় রাউন্ড শেষে ৮ হাজার ২০৬ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। পিছিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্র-আনন্দবাজার পত্রিকা