দেশে ভারতের স্ট্রেইন এসেছে কি না, তা কিছুদিন পর জানা যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় স্ট্রেইন এসেছে কি না, তা আরও কিছুদিন পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, 'ভারতফেরত যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকুয়েন্সিং করা হচ্ছে। জিনোম সিকুয়েন্সিং করতে কিছুটা সময় লাগে। আমরা রিপোর্ট পাওয়ামাত্র জানাব, ভারতীয় ভেরিয়েন্ট দেশে এসেছে কি না।'
তিনি আরও বলেন, 'সংক্রমণের হার কমেছে। এতে করে আত্মতুষ্টি বা করোনা চলে গেছে ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শপিংমলে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে; সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অনেকে মাস্ক খুলে রেখে ইফতার করছেন। ঘরের বাইরে খাবার গ্রহণের অভ্যাস পরিহার করতে হবে। কোনো অবস্থায় যেন মাস্ক খোলা না হয়।'
নাজমুল ইসলাম বলেন, 'লকডাউন পরিস্থিতির কারণে যারা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে আটকে পড়েছেন, তাদের জন্য (ভ্যাকসিনের) সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার বিষয়টি সহজ করা হয়েছে। যাদের ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর ১৩ সপ্তাহ প্রায় শেষ হয়েছে, তারা সেকেন্ড ডোজ গ্রহণ করবেন। (যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তারা) নেগেটিভ হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নেবেন।'
'যারা ভ্যাকসিনের ফার্স্ট ডোজের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন, এখনো পাননি ,নতুন ভ্যাকসিনের চালান আসলে তারা ভ্যাকসিন পাবেন,' জানান তিনি।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারা যদি সেকেন্ড ডোজ টিকা না পান তাহলে কী করা হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। একটি টিকা গ্রহণ করার পর অন্য কোন টিকা গ্রহণ করা যাবে কি না, নিশ্চিত করা হয়নি।'
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন শেষ পর্যন্ত না পাওয়া গেলে কী করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আমরা জানি ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি আছে, ডিপ্লোমেসি আছে; তারপরও মানবতার জয়গান হয়। শেষ পর্যন্ত টিকা পাওয়ার আস্থা রয়েছে।'