পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরও বাতিল
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিলের ঘোষণার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও তার ভারত সফর বাতিল করেছেন।
বাংলাদেশের দুই মন্ত্রীর সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এলো যার মাত্র একদিন আগে ভারত দেশটির নাগরিকত্ব বিল রাজ্যসভায় পাস করে।
ওই বিল অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে যে অমুসলিমরা (হিন্দু, বৌদ্ধ, পার্সি, শিখ ও খ্রিস্টান) ‘ধর্মীয় পীড়নের কারণে’ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে গিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তবে একইদিন প্রতিবেশীদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অভিযোগ ‘সত্য নয়’ দাবি করে তার উত্তর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
এর পরদিনই ভারতের পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কংকাল সাংমার আমন্ত্রণে শুক্রবার সকাল ১১টায় সিলেটের তামাবিল হয়ে মেঘালয়ে যাওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সফর বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রী মেঘালয়ে সফরে যাবেন। সম্ভবত আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে ওই সফর হবে।”
তবে ঠিক কী কারণে সফর বাতিল করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি ওই কর্মকর্তা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারত সফর বাতিল করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
সফর বাতিলের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ভারত সফর বাতিল করতে হয়েছে তাকে।