ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার বিষয়ে গাইডলাইন দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে- সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার দুপুরে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এ কথা জানান।
নতুন চিন্তার কারণ হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, বাংলাদেশ এ বিষয়ে কী ভাবছে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ বিষয়টি নিয়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি নিজেরা আলাপ-আলোচনা করেছেন। তারাই একটি পরামর্শ চূড়ান্ত করবেন।'
'তা ছাড়া, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেরা কথা বলেছি। আমরা বিভিন্ন জেলাগুলোতে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন আমরা দেব,' যোগ করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিবেশি দেশ ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাট, এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অনেক রোগীর ডায়াগনোসিস কনফার্ম হয়েছে। কোনো কোনো রাজ্যে এটি মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা করেছে। বাংলাদেশে আমরা সতর্ক রয়েছি, কোনো অবস্থাতে কোভিডের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ না ফেলে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত করোনার নয়টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি একেবারে নিশ্চিত। জিনোম-সিকোয়েন্সিং চলছে। আমরা মনে করি, রিপোর্ট হাতে এলে সংখ্যাটি বেড়ে যাবে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ করার সক্ষমতা অনেক বেশি। কাজেই সাধারণ কোভিড-১৯-এ আমরা যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছি, হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা- এই কাজগুলো আমাদের আরও জোরে-শোরে করতে হবে। অন্যদের করার জন্য আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে মিক্সড ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ডব্লিউএইচও, এফডিএর মতো প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলোর কাছ থেকে যদি যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত পাই, তখন এক কোম্পানির ভ্যাকসিন ফার্স্ট ডোজ দেওয়ার পর অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিন সেকেন্ড ডোজ দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করব।'