ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার ওষুধ সহজলভ্য করতে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবেলায় ব্যবহৃত ওষুধ সহজলভ্য করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস খুব বেশি মানুষের হয় না। তবে এর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল । বিষয়টি নিয়ে গত কিছু দিন ধরে আমরা ক্রমাগত কাজ করছি এবং একটি গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করছি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবিলায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করতে হয়, সেসব কীভাবে সহজলভ্য করা যায় সে বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেবো। তার কারণ হলো এই ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতির কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।
নাজমুল ইসলাম বলেন, মিউকরমাইকোসিস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আদিকাল থেকেই আমাদের পরিবেশের সঙ্গে আছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষেত্র বিশেষে কখনো কখনো এর প্রাদুর্ভাব দেখা যেতে পারে। কোভিড পরিস্থিতিতে ক্ষেত্র বিশেষে যেখানে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয়, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস তাদের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিস সত্যিকার অর্থেই বিপদের কারণ হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সাধারণত পোস্ট কোভিড পরিস্থিতিতে গিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হয়। কোভিড নেগেটিভ হওয়ার দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো শারিরীক পরিবর্তন যা আগে ছিল না-দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে। স্টেরয়েড গ্রহণের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনো অবস্থাতেই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা যাবে না।
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করি জুন-জুলাই মাস থেকে আবার প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারবো। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলে আমরা দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ শুরু করবো। চীন থেকে যে টিকা সংগ্রহ করার কথা আছে, আমরা আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এটি আলোর মুখ দেখবে। তখন প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি চলতে থাকবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার মজুতও প্রায় শেষ। আপাতত ১৫ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান করা হবে না। তাদের ধৈর্য ধরতে অপেক্ষা করতে অনুরোধ জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত এ টিকা নেয়ার সুযোগ থাকে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে এবং যাদের দ্বিতীয় ডোজ বাকি থাকবে তারা নির্ধারিত সময়েই সেই টিকা পেয়ে যাবেন।
সীমান্তবর্তী আর কোনও জেলায় লকডাউন দেওয়া হবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। যেখানে পরিস্থিতি যেমন হবে, সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্যকে নিরাপদ করার জন্য যেকোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সরকার। আর এখানে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনও সুযোগ নেই।