ইউরোপের বাজারে পুনরায় পান রপ্তানি শুরু
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর ইউরোপে পুনরায় পান রপ্তানি শুরু হলো। প্রথম চালানে রপ্তানি হচ্ছে এক মেট্রিক টন পান। সালমোনেলা ব্যকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে পান রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বুধবার সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে 'ইউরোপে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পান রপ্তানি' কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভবিষ্যতে পান রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ইউরোপসহ উন্নত দেশে অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে। অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব থেকে সনদ দেয়া শুরু হয়েছে।
এছাড়া, ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। ফলে, আমরা আশা করছি, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বিরাট ভূমিকা রাখবে ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে'। এতে কৃষকও লাভবান হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পানে ক্ষতিকর সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাময়িকভাবে পান রপ্তানির উপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা ধাপে ধাপে ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করে। ইইউ পান রপ্তানিতে কতিপয় শর্ত আরোপ করে। যেমন- পান সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হতে হবে, উৎপাদন হতে শিপমেন্ট পর্যন্ত উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ), গুড হাইজিন প্র্যাকটিসেস (জিএইপপি), গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস (জিএমপি) অনুসরণ করত হবে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব হতে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে প্রভৃতি ।
এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ইইউ'র আরোপিত শর্ত পূরণ করতে পারায় গত ১৫ এপ্রিল পান রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ২০১২-১৩ সালে ১৮ হাজার ৭৮০ টন ও ২০১৩-১৪ সালে ১৩ হাজার ২৫০ টন পান রপ্তানি হয়। যার মূল্য যথাক্রমে ৩৮ মিলিয়ন ও ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।