অনুজ্জ্বল সাকিব, মোহামেডানের আরেকটি হার
বৃষ্টি বাধায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে এলো ৬ ওভারে। রান তোলার ব্যাপারটা মাথায় রেখে খুনে ব্যাটিং করে গেলেন প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ইমরান উজ্জামান, শামীম হোসেনরা। সংগ্রহটা লড়াকুই দাঁড়ায় প্রাইম দোলেশ্বরের। এই রান পাড়ি দিতে মোহামেডানকেও মারকুটে ব্যাটিং করতে হতো। কিন্তু সাকিব আল হাসান, নাদিফ চৌধুরীরা যেভাবে ব্যাট চালালেন, ব্যবধান থেকেই গেলো।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২২ রানে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর টানা দুই ম্যাচ হারলো সাকিবের মোহামেডান। এই হারে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে শীর্ষে প্রাইম দোলেশ্বর।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইমরান উজ্জামান, শামীম হোসেনের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৮ রান তোলে দোলেশ্বর। জবাবে ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ৫৬ রান তোলে মোহামেডান। এই ম্যাচেও ব্যাটে-বলে দলকে পথ দেখাতে পারেননি ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী হয়ে পড়া সাকিব।
প্রাইম দোলেশ্বরকে দাপুটে শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ইমরান উজ্জামান ও শামীম হোসেন। ২.৪ ওভারেই স্কোরকার্ডে ৫০ রান যোগ করেন তারা। এ সময় তাসকিন আহমেদ, সাকিবদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ইমরান-শামীম। ৩.৫ ওভারে ৬৮ রানে পৌঁছে যায় দোলেশ্বর।
ইমরানের বিদায়ে থামে দোলেশ্বরের ব্যাটিং শো। ফেরার আগে মাত্র ১৪ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এ সময় বিদায় নেন শামীমও। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য ১৬ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষের দিকে দোলেশ্বরের রান তোলার গতি থেমে যায়। শেষ ১১ বল থেকে আসে মাত্র ১০ রান।
আবু জায়েদ রাহি ছাড়া মোহামেডানের সব বোলারই এদিন খরুচে ছিলেন। ডানহাতি এই পেসার এক ওভারে মাত্র ৪ রান খরচায় তুলে নেন ২টি উইকেট। তাসকিন এক ওভারে দেন ১৮ রান। এক উইকেট পাওয়া সাকিব দুই ওভারে খরচা করেন ২৭ রান। রুয়েল মিয়া দুই ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারের ৩ বলেই দুই উইকেট হারায় মোহামেডান। মোহামেডানের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও শুভাগত হোমকে এক বলের ব্যবধানে ফিরিয়ে দেন দোলেশ্বরের পেসার শফিকুল ইসলাম। এরপর সাকিব ও নাদিফ মিলে চেষ্টা চালালেও সফল হতে পারেননি।
নাদিফ ১১ বলে ৩টি চারে ১৬ রান করে বিদায় নেন। ১৪ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রান করা সাকিবকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন শফিকুল। ইরফান শুক্কুর ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। মোহামেডানের ইনিংস গুঁড়িয়ে দেওয়া শফিকুল ২ ওভারে ২২ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি নেন রেজাউর রহমান রাজা।