প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার মাইলফলক ছুঁলো চীন
প্রথম দেশ হিসেবে চীন কোভিড-১৯ এর ১০০ কোটিরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার মাইলফলক ছুঁয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে ১০১ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর আগের দিন দিন পর্যন্ত পুরো বিশ্বে ২৫০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
পুরো বিশ্বে যত ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তার প্রায় ৪০ শতাংশই চীনে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হয়, যুক্তরাষ্ট্রে তার দুই সপ্তাহ আগেই এই মাইলফলক ছোঁয়। তবে খুব দ্রুতই বেগবান হয় চীনের টিকাদান কর্মসূচি। শুধু মে মাসেই দেশটিতে ৫০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
"১০ কোটি ডোজ থেকে ২০ কোটি ডোজ টিকা দিতে চীনের সময় লাগে ২৫ দিন, ২০ কোটি থেকে ৩০ কোটি দিতে ১৬ দিন, ৮০ কোটি ডোজ দেওয়ার পর ৯০ কোটি দিতে সময় লাগে মাত্র ৬ দিন," জানানো হয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে।
বেশ সফলভাবেই মহামারির সংক্রমণ রোধ করেছে চীন। উত্তর আনহুই ও লিয়াওনিং প্রদেশ ও দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংদংয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলগুলোর মানুষ ভ্যাকসিন নিতে ছুটছেন।
১৮ বছরের কম বয়সীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে চীন। কিশোর বয়সীদের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
এ বছরের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিন নেওয়ার উপযোগী জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটি। এনএইচসির সহকারি প্রধান জেং ইয়িজিনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।
চীনের জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি। একারণেই প্রতি একশো জন মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার হিসেবে এখনো যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে পিছিয়ে আছে দেশটি।
তবে দেশটির টিকাদান কর্মসূচি একই গতিতে এগিয়ে গেলে শীঘ্রই শতকরা হিসেবেও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যকেও ছাড়িয়ে যাবে।
২০১৯ সালের শেষ নাগাদ চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বে কোভিডজনিত কারণে এ পর্যন্ত ৩৮ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
- সূত্র: সিএনএন