সাতক্ষীরা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘন্টায় ১৪ জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের করোনা পজেটিভ, বাকিরা উপসর্গে মারা গেছেন। এদিকে, বুধবার (৩০ জুন) বেলা ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অক্সিজেন সংকট দেখা দেয় হাসপাতালটিতে। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নয়জনের মৃত্যু ঘটে।
বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সুফুরা বেগম (৬০), সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার খায়রুননেছা (৪০), কুকরালী এলাকার নাজমা কেগম (৫০), পলাশপোল এলাকার আনছার আলী (৭৫), কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের আকরাম হোসেন (৬৬), শ্যামনগর উপজেলার রমজান নগর গ্রামের আশরাফ হোসেন (৪৭), দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তুহিন (৪৫), আশাশুনি উপজেলার রবিউল ইসলাম (৪৮), পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০)।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আরও মারা গেছেন- আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের আব্দুল হামিদ (৭৫), যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী (৬২), তালা উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের রহিমা বেগম (৬০), পলাশপোল এলাকার শেখ কাদিরুল (৭৫), সদর উপজেলার ভাড়ুখালি এলাকার কওসার আলী (৫২)।
এদিকে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পজেটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন এবং উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ২৪৯ জন।
সাতক্ষীরা মেডিকেলের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার মন্ডল বলেন, 'বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে রাত ৮টার পর থেকে অক্সিজেনের ব্যবহার স্বাভাবিক হয়। যশোর থেকে অক্সিজেনের কোম্পানীর গাড়ি আসতে দেরী করে। এই সময়ের মধ্যে আইসিইউতে তিনজন রোগী মারা যায়'।
তিনি বলেন, 'ওয়ার্ডের মধ্যে অক্সিজেনের ব্যবহার কম থাকে। যেখানে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও দেওয়া হয়। সে কারণে ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে এটি বলা যাবে না। যারা আইসিইউ ও ওয়ার্ডে মারা গেছেন তাদের সকলের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন ও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকা ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে'।