৩৯ লাখ পোশাক শ্রমিকের জন্য টিকা চেয়েছে বিজিএমইএ
দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসের টিকা আসার প্রেক্ষিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য টিকা চেয়ে ফের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিজিএমইএ।
স্থানীয় শ্রমিকদের পাশাপাশি এ খাতে কর্মরত বিদেশিদেরও টিকার আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আজ সোমবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়।
দেশে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই ফ্রন্টলাইনার হিসেবে পোশাক খাতের শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছে সংগঠনটি। সম্প্রতি ফারুক হাসানের এর নেতৃত্বে বিজিএমইএ'র নতুন বোর্ড স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ওই সাক্ষাতের সময় টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত হলে এ খাতের শ্রমিকের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। অনেকদিন বন্ধ থাকার পর দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে আবার টিকা আসা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন করে জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্প কর্মীদের পুনরায় টিকাকরণের দাবি জানালো বিজিএমইএ।
চিঠি পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিএমইএ- এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুল্লাহ আজিম- দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, নতুন করে টিকা আসা শুরু হওয়ায় আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি, যাতে এ খাতের শ্রমিকদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়। তিনি জানান, এ খাতে ৩৯ লাখ শ্রমিকের জন্য আমরা টিকা চেয়েছি। একইসঙ্গে এ খাতে কর্মরত আরো ৮০০ বিদেশি কর্মকর্তার জন্যও চেয়েছি।
বিজিএমইএ'র পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ খাতের শ্রমিক-কর্মচারিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানা চালু রেখেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের শ্রমিক ও বিদেশিদের টিকার আওতায় আনার জন্য তাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।