গণমাধ্যমে তথ্যদানে নিষেধাজ্ঞা তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থী: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি
স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মকাণ্ড এবং রোগী ও রোগীদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে তথ্যদানে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি- ডিআরইউ।
আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, "৮ জুলাই ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় সরকারি হাসপাতালে রোগীর সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো প্রকার তথ্য প্রদান ও মন্তব্য না দিতে বলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের এ নির্দেশনায় ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ ক্ষুদ্ধ ও বিস্মিত।
সেখানে আরও বলা হয়, "ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মনে করেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ঢালাওভাবে তথ্য না দেওয়ার বিষয়টি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক। এ ধরনের নির্দেশনা অবাধ তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। নিষেধাজ্ঞাটি কেবল অবাধ তথ্য প্রবাহের অন্তরায় নয় বরং স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ।"
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় সারাদেশে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালের বিদ্যমান সক্ষমতা এবং স্বাস্থ্য সেবার নানা বিষয় তুলে ধরে সংকট মোকাবিলায় সরকারের নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করছেন। একইসঙ্গে, তারা সাধারণ জনগণকে সচেতন ও সাবধান করে তুলতে ভূমিকা রাখছেন।
"এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম, অপকর্ম ও ব্যর্থতা ঢেকে রাখতেই তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।"
তাই তারা অবিলম্বে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।