৩১ জুলাই থেকে কারখানা খোলা রাখতে সরকারের কাছে আবেদন করবে বিজিএমইএ
ঈদের পর আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চলমান সে লকডাউনের ভেতর রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো চালুর অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকরা।
এর ফলে তাদের পক্ষে পূর্বনির্ধারিত সময়ে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে, নতুবা লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরকারের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম।
বিজিএমইএর সভাপতি, সাবেক সভাপতিবৃন্দ এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল পোশাক খাতের বর্তমান সমস্যা এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সাথে সাক্ষাত করবেন বলে জানান সংগঠনটির পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
বুধবার এক জরুরি বোর্ড সভায় বিজিএমইএ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে এ সভায় বোর্ডের বেশিরভাগ সদস্য ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চলমান লকডাউন শিথিলের একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সে নির্দেশনায়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু করে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত চলাচল ও বিধি-নিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঈদুল আযহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ-পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
তবে, ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত পুনরায় কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধ আরোপিত হবে বলে জানানো হয়।
ফলস্বরূপ ঈদের ছুটি সহযোগে সাকল্যে টানা ১৪ দিন কলকারখানা সমূহ বন্ধ থাকবে।
পোশাক রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, এর ফলে চালান বা শিপমেন্টের সময়সূচী বজায় রাখা তাদের পক্ষে খুব কঠিন হবে।
মহামারির পরিস্থিতি বিবেচনায় কঠোর লকডাউনের প্রয়োজনীয়তায় বিজিএমইএ বোর্ডও একমত।
শহীদুল্লাহ বলেন, "মানুষ না বাঁচলে অর্থনীতি টেকানো যাবে না"।
ডেনিম এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন জানান, ঈদ-পরবর্তী শাটডাউনের ফলে তার প্রতিষ্ঠান মিলিয়ন ডলারের চালান থেকে বঞ্চিত হবে।
আসন্ন শাটডাউন সম্পর্কে জানার পর ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ক্রেতা তার সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং সময়মতো শিপমেন্ট সরবরাহ করতে বলেছেন বলে মোস্তাফিজ উল্লেখ করেন।