করোনাকালেও চট্টগ্রাম ভ্যাট বিভাগে ৬.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/12/10/vat-shutterstock-dec24.jpg)
করোনাকালেও ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে ৬.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট ৯,৪৪০ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করেছে। গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ভ্যাট রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৮,৮৬৬ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) শাহিনুর রহমান পাভেল বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিগত অর্থবছরের আহরণের তুলনায় ৫৭৪ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
গত অর্থবছরের তুলনায় ভ্যাট নিবন্ধন সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ছিল ২১,০১৪টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১,০৯৪টি।
২০২১ সালের জুন মাসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩,১৯৬টি। নিবন্ধনের তুলনায় রিটার্ন দাখিলের হার ৭৭ শতাংশ। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২১,৫১২টি; শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৭০ শতাংশ।
অনলাইনে অথবা মোট রিটার্ন দাখিলের সংখ্যার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন ১২টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে চট্টগ্রাম কমিশনারেটেই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দাখিল করা হয়ে থাকে।
কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, করোনাকালে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সকল কৃতিত্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। এছাড়া, করদাতাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
ভ্যাট কমিশনারেট সূত্র জানায়, করদাতাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন ৮ বিভাগীয় কার্যালয়ে অনলাইনে সহজে নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলের জন্য ৩টি ভ্যাট মেলার আয়োজন করে। বেশকিছু মার্কেটে ভ্যাট বুথ স্থাপনের মাধ্যমে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করায়, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভ্যাট রাজস্ব আদায়ে।