ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে না চাওয়ায় আলজেরীয় জুডোকা নিষিদ্ধ
ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় শনিবার অলিম্পিক থেকে আলজেরীয় জুডোকা ফেথি নুরিন ও তার কোচ আমের বেন ইয়াখলিফের নাম প্রত্যাহার করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রথম রাউন্ডে নুরিনের প্রতিপক্ষ ছিলেন সুদানের মোহাম্মেদ আবদালরাসুল। সে ম্যাচে জিতলে পুরুষদের ৭৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে তার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতেন ইসরায়েলি খেলোয়াড় তোহার বাটবাল।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আলজেরীয় টিভি স্টেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুরিন জানান, একজন ইসরায়েলির সঙ্গে খেলা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলেই সরে এসেছেন।
নুরিন বলেন, ''আমরা অলিম্পিকে এই পর্যন্ত পৌঁছতে অনেক কষ্ট করেছি; কিন্তু ফিলিস্তিন ইস্যু অন্য সবকিছুর চেয়ে বড়।' নিজের এই সিদ্ধান্তকেই 'চূড়ান্ত' বলে জানিয়ে দিয়েছেন নুরিন।
গেল শনিবার আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের (আইজেএফ) কার্যনির্বাহী কমিটি নুরিন ও বেন ইয়াখলিফকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জবাবে আলজেরীয় অলিম্পিক কমিটি টোকিও অলিম্পিক থেকে তাদের অ্যাক্রিডিটেশন প্রত্যাহার করে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, নুরিনের ওপর আরও বড় শাস্তি আরোপ হতে পারে।
আইজেএফ জানায়, 'নুরিনের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের মূল দর্শনের সম্পূর্ণ বিরোধী। আইজেএফ সব সময় কড়া বৈষম্যহীন নীতি মেনে চলে। জুডোর মূল্যবোধের মাধ্যমে সংহতি বাড়ানোই মূল লক্ষ্য। এই খেলার অন্যতম মূল ভিত্তি হলো সম্মানবোধ ও বন্ধুত্ব। সিদ্ধান্তটি আমাদের খেলার মূলনীতির পরিপন্থী।'
ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে না চাওয়ায় নুরিনের খেলা থেকে সরে আসার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনি একই কাজ করেছিলেন।
ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে না চাওয়ায় ইরানি জুডোকাদেরও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
- সূত্র: দ্য নিউ আরব