বাংলাদেশের নাগরিকদের কাতারে ঢোকার আগে থাকতে হবে হোটেল কোয়ারেন্টিনে
বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৬টি দেশের নাগরিকদের কাতারে ঢুকতে হলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই ছয় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে বলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন কাতারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
গত ২ আগস্ট থেকে এশিয়ার ছয়টি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের নাগরিককে কাতারে প্রবেশ করতে হলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
কাতার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো টিকা নেওয়া থাকলে এই ছয় দেশের নাগরিকদের দুইদিন হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কাতারের অনুমোদন না পাওয়া টিকা নেওয়া থাকলে ১০ দিন হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এশিয়ার এই ছয় দেশের নাগরিকদের।
গত ২৯ জুলাই এ ঘোষণা দেয় দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, টিকা নেওয়ার পরও কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কাতারে ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, মারা গেছেন ৬০১ জন। দেশটি নাগরিকদের ওপর ৩৯ লাখ ডোজের বেশি টিকা প্রয়োগ করেছে।
কাতার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এশিয়ার ছয় দেশে করোনা সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে এই দেশগুলোর নাগরিকদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
গত জুলাইয়ে কাতার ফের পারিবারিক ও পর্যটন ভিসা দেওয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করে।
অন্য দেশ থেকে একই টিকা নিয়ে আসা সত্ত্বেও কেন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ উগরেছেন অনেকে। এই নিয়মকে বৈষম্যমূলক বলছেন তারা।
কাতার কর্তৃপক্ষের দাবি, এ দেশের বাইরে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে দেশটির কাছে তথ্য নেই বলে এ ব্যবস্থা নেওয়া।
এ মাসের শুরুতে তৃতীয় দফায় কোভিড-১৯-এর বিধিনিষেধ শিথিল করতে আরম্ভ করে কাতার। দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সার্বিক করোনা পরিস্থিতির ওপর তারা কড়া নজর রাখবে এবং ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ তুলে নেবে।
-
সূত্র: আল জাজিরা