বেতনের ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্ত গড়লেন সেলিম মিয়া
বাংলাদেশের ফুটবলে আপাতত তেমন কোনো ভালো খবর নেই। ভালো পারফরম্যান্স না করতে পারার হাহাকারের সঙ্গে আছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মাঝে মিললো মন ভালো করা খবর। বেতনের টাকা ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্ত গড়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ সেলিম মিয়া।
কাজ করতে পারেননি বলে সাড়ে চার মাসের বেতন ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন নারী দলের গোলকিপিং এই কোচ। দায়িত্ব নিলেও চোটের কারণে সাড়ে চার মাস কাজ করতে পারেননি সেলিম। বসে বসে বেতন নেওয়াটা যুক্তিযুক্ত মনে করেননি তিনি। বেতনের টাকা অফিসের কোষাগারে ফেরত দিয়েছেন তিনি।
ফুটবলের সঙ্গে সেলিমের সখ্য বহুদিনের। নিজে ফুটবলার ছিলেন। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি তার। বয়সভিত্তিক জাতীয় দল পর্যন্ত খেলার সুযোগ হয়েছে এই কোচের। ১৯৯০ সালে বিকেএসপির ডানা-গোথিয়া কাপ দলের সদস্য ছিলেন সেলিম।
বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকার সূত্রে নারী দলের গোলকিপিং কোচের দায়িত্ব পান সেলিম। চলতি বছরই তার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
শুরুর আড়াই মাস দায়িত্ব পালন করেন সেলিম। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে বাধে বিপত্তি। প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পান তিনি। তার বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কেলের টেন্ডন ছিঁড়ে যায়। এরপর আর কোচিং করাতে পারেননি সেলিম। তাই সাড়ে চার মাসের বেতনের টাকা নেননি তিনি।
বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সেলিম মিয়া নিজেই জানিয়েছেন। বুধবার বাফুফে ভবনে সেলিম বলেন, 'চোট পাওয়ার কারণে মার্চের মাঝামাঝি থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি, দলের সঙ্গে থাকতে পারিনি। এ কারণে জুলাই পর্যন্ত সাড়ে চার মাসের বেতনের টাকা অফিসের কোষাগারে জমা দিয়েছি।'
নারী দলের কোলকিপিং এই কোচ এখনও দলের অনুশীলনে যোগ দেননি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেলিম নারী দলের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালকও।